বিএনপির কাছ থেকেই আওয়ামী লীগ একক নির্বাচনের কৌশল শিখেছে

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম বলেছেন, ১৯৯৬ সালে বিএনপি এককভাবে নির্বাচন করেছিল। বিএনপির কাছ থেকেই আওয়ামী লীগ একক নির্বাচন করার কৌশল শিখেছে। আবার আওয়ামী লীগের কাছ থেকে বিএনপিও শিখেছে। তারা মূলত এক গাছের দুইটি ডাল। এই দুই দল দুই রকম সাপ হলেও বিষ একই।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষের স্মৃতিশক্তি মাত্র ৪০ দিনের। আওয়ামী লীগ যত অন্যায়ই করুক, কিছুদিন পর মানুষ তা ভুলে যায়। নেতার পরিবর্তন হয়েছে, দলেরও পরিবর্তন হয়েছে, কিন্তু আদর্শের পরিবর্তন হয়নি।

মঙ্গলবার (৮ জুলাই) বিকেলে নাটোর শহরের ভবানীগঞ্জ মোড়ে আয়োজিত গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম বলেন, জুলাই বিপ্লবে আমরাই সামনে ছিলাম, রাস্তায় ছিলাম। যারা বিদেশে ছিলেন, তাদের গায়ে গরম লাগবে না। যারা ঘরে ছিলেন, তাদের ব্যথাও হবে না। যারা বুলেটের সামনে ছিলেন না, তাদের হৃদয়ে আঘাত লাগবে না। আমরাই ছিলাম বুলেটের সামনে, তাই কষ্ট আমাদের। সে কারণে কথা বলার অধিকারও আমাদের।

আরও পড়ুনআন্দোলনে ছাত্রদের আঁকা গ্রাফিতিই নতুন সংবিধান: নাহিদ ইসলাম প্রধানমন্ত্রী-স্পিকারের আগে মাননীয় বলা থেকেই স্বৈরতন্ত্রের জন্ম 

তিনি বলেন, যারা রাস্তায় ছিলেন না, তারা জেলখানায় থাকবেন। আমরা রাস্তায় না থাকলে আপনারা জেলখানা থেকে মুক্তি পেতেন না। আপনার নেত্রীকে বিদেশে চিকিৎসা করানোর ক্ষমতাও আপনাদের নেই। যেমন আপনাদের নেতাকে বিদেশ থেকে দেশে আনার ক্ষমতাও নেই।

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নায়েবে আমির বলেন, আমরা দাড়িওয়ালা, টুপিওয়ালা ছাত্র-জনতা, শ্রমিক, কুলি, দিনমজুর- আমরাই রাস্তায় ছিলাম, তাই আজ আপনারা বড় বড় কথা বলার সুযোগ পাচ্ছেন। আপনারা লুটপাট করছেন, চাঁদাবাজি করছেন। যে দেশ আমরা স্বাধীন করেছিলাম, সেই দেশে এখন স্বামীকে বেঁধে রেখে স্ত্রীকে ধর্ষণ করা হচ্ছে! আমরা ৫ আগস্টে থানা ভাঙচুর কিংবা লুটপাটের জন্য আন্দোলন করিনি। আমরা আন্দোলন করেছি, যেন কোনো মায়ের কাছ থেকে যুবক সন্তানকে তুলে নিয়ে হত্যা করা না হয়। বিএনপি ও আওয়ামী লীগকে বহুবার পরীক্ষা করা হয়েছে, তাদের আর পরীক্ষার দরকার নেই। এবার আমাদের একবার সুযোগ দিন। যদি ভালো রেজাল্ট না করতে পারি, তাহলে আর কখনো আপনাদের সামনে আসব না।

গণসমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ নাটোর জেলা শাখার সভাপতি মাওলানা মোহাম্মদ আলী সিদ্দিকী। বক্তব্য রাখেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, রাজশাহী বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতি শেখ মোহাম্মদ নুরুন নাবী, কেন্দ্রীয় সহ সাধারণ সম্পাদক হাফেজ মাওলানা কামাল উদ্দিন প্রমুখ। রেজাউল করিম রেজা/কেএসআর