ভ্রমণ

সাজেকের জনপ্রিয় ‘ব্যাম্বো চিকেন’

কড়াই নয়, বাঁশের ভেতরে রান্না হচ্ছে মুরগির মাংস বা বিরিয়ানি। পাহাড়ের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠির মানুষের কাছে এটি স্বাভাবিক বিষয় হলেও পর্যটকদের কাছে তা ভিন্ন আমেজের।

Advertisement

বলছি, ব্যাম্বো চিকেন বা ব্যাম্বো বিরিয়ানির কথা। ব্যাম্বো চিকেন বা ব্যাম্বো বিরিয়ানি পাহাড়ি এলাকার জনপ্রিয় এক পদ। কাঁচা বাঁশের দারুন গন্ধ পাওয়া যায় এই বিরিয়ান বা মাংসের পদে।

ভিন্ন স্বাদ ও গন্ধ উপভোগ করতেই পর্যটকরা পাতে তুলে নেন এই খাবার। পাহাড়ে বেড়াতে যাওয়া সব পর্যটকই খেতে চান ব্যাম্বো চিকেন, ব্যাম্বো বিরিয়ানির সঙ্গে বারবিকিউয়ের মতো মুখোরোচক খাবার। সাজেক গিয়ে এসব খাবার না খেলে আপনার ভ্রমণ অপূর্ণই থেকে যাবে।

উঁচু পাহাড়, ভেসে বেড়ানো মেঘ ও সবুজ প্রকৃতিই সাজেকের অন্যতম আকর্ষণ। প্রকৃতি দর্শনের পাশাপাশি মুখরোচক খাবারও খেতে পারবেন সেখানে গেলে।

Advertisement

সাজেকের একখণ্ড পাহাড়ে ভোজন রসিকদের জন্য আছে- মনটানা, সিমবাল, কাঁশবন, ফুড এনকি রেস্টুরেন্ট, আল-মদিনা, শাহ মোহছেন আউলিয়া ও মেঘের ঘর ছাড়াও আরও অনেক রেস্টুরেন্ট।

এছাড়াও ‘খোয়াল বুক’সহ বিভিন্ন রিসোর্ট কর্তৃপক্ষ নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় রেস্টুরেন্ট সেবা দিচ্ছে পর্যটকদের। পর্যটকদের পছন্দমতো খাবারও তারা সরবরাহ করে থাকে। তবে অবশ্যই পর্যটকদের আগে থেকেই তাদের পছন্দের খাবারের অর্ডার করতে হয়।

সাজেক ভ্রমণে গিয়ে সকালের নাস্তায় ভুনা খিচুড়ি, ডিম-পরোটা, ভাজি ও ডাল খেতে পারবেন। দুপুরের খাবারে ভাতের সঙ্গে মুরগি, মাছ, মাংস, মিক্সড সবজি, আলু ভর্তা ও ডাল পাবেন।

তবে এসবের বাইরে নিজেদের পছন্দের যে কোনো খাবার খেতে চাইলে আগে থেকেই চাহিদা অনুযায়ী অর্ডার করে রাখতে হবে। আর রাতের খাবারে পাবেন বারবিকিউ ও পরোটা অথবা ভাতে, ব্যাম্বো চিকেন, মিক্সড সবজি, আলু ভর্তা, ডাল ও ব্যাম্বো বিরিয়ানি। তবে আপনি যা ই খান না কেন আগেই অর্ডার করতে হবে।

Advertisement

একটি ব্যাম্বো চিকেন চারজন খাওয়া যায়। প্রতিটি ব্যাম্বো চিকেনের দাম পড়বে ৬০০-৭৫০ টাকা। অন্যদিকে একটি ব্যাম্বো বিরিয়ানি দু’জনে খেতে পারবে। দাম পড়বে ৩৫০-৪০০ টাকা।

এছাড়াও ৮০-১২০ টাকার প্যাকেজে সকালের নাস্তা সারতে পারবেন। দুপুরে ও রাতে প্যাকেজ অনুযায়ী ২২০০-২৫০ টাকায় খাওয়া যাবে। তবে প্যাকেজের সঙ্গে বাড়তি খাবার নিতে চাইলে তাও নেওয়া সম্ভব।

খাবারের মান নিয়ে নিজের সন্তুষ্টি প্রকাশ করে নারায়ণগঞ্জ থেকে আসা পর্যটক ব্যবসায়ী পিয়াস কান্তি দাস বলেন, ‘দুর্গম এ পাহাড়ে খাবারের মান অনুযায়ী দামও খুব বেশি নয়। তবে এখানকার ব্যাম্বো চিকেন ও ব্যাম্বো বিরিয়ানি ও বারবিকিউয়ের দাম একেক রেস্টুরেন্টে একেক রকম। ’

পর্যটকদের শতভাগ হালাল খাবার সরবরাহ করার কথা জানিয়ে সাজেকের প্রথম বাঙালি রেস্টুরেন্ট ‘মনটানা’র মালিক মো. জহির বলেন, ‘সাজেকে সব ধরনের খাবারই পাওয়া যায়। দুপুরে ও রাতে ২২০-২৫০ টাকার মধ্যেই খেতে পারবেন। পর্যটকদের কাছে ব্যাম্বো চিকেন ও ব্যাম্বো বিরিয়ানির কদরও খুব বেশি’।

মুজিবুর রহমান ভুইয়া/জেএমএস/এমএম