ভ্রমণ

ঢাকার কাছেই সারিঘাট কাশবন

‘সবে তো এই বর্ষা গেল/শরৎ এলো মাত্র, এরই মধ্যে শুভ্র-কাশে/ভরলো তোমার গাত্র। ক্ষেতের আলে, নদীর কূলে/ পুকুরের ঐ পাড়টায়/ হঠাৎ দেখি কাশ ফুটেছে/বাঁশবনের ঐ ধারটায়!’ নির্মলেন্দু গুণের ‘কাশফুলের কাব্য’ কবিতায় উঠে এসেছে কাশফুলের সৌন্দর্যকথা।

Advertisement

শরতের কাশফুল দেখার জন্য নিশ্চয়ই মন উদগ্রীব হয়ে আছে। দিগন্তজোড়া শুভ্র কাশফুলের সৌন্দর্য সবাইকে বিমোহিত করে। কাশফুলের নরম ছোঁয়ায় মনে প্রশান্তি আসে, সব ক্লান্তি দূর হয়ে যায়।

কাশফুল সাধারণত নদীর ধার, জলাভূমি, চরাঞ্চল, শুকনো রুক্ষ এলাকা, পাহাড় কিংবা গ্রামের কোনো উঁচু জায়গায় কাশের ঝাড় বেড়ে ওঠে। তবে নদী ও খালের ধারেই এদের বেশি জন্মাতে দেখা যায়।

অনেকেই এখন কাশফুলের সৌন্দর্য উপভোগ করতে চাইলেও কোথায় যাবেন তা ঠিক করতে পারছেন না! আসলে ঢাকার মধ্যেও যে বেশকিছু স্থানে কাশফুলের দেখা মেলে সে তথ্য অনেকেরই জানা নেই।

Advertisement

ঢাকার খুব নিকটেই আপনি খুঁজে পাবেন কাশবন। যেখানে গেলে আপনি মুগ্ধ হয়ে যাবেন। চারপাশে দিগন্ত বিস্তৃত কাশবন। টলটলে নদীর খাল। ঠিক খালের ধার ঘেঁষেই অযত্নে বেড়ে উঠেছে প্রকৃতির অপার এই বিস্ময়কর ফুল।

ঢাকার কেরানীগঞ্জের কোন্ডা ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের আইন্তা সারিঘাটে গেলেই মনোমুগ্ধকর এ দৃশ্য উপভোগ করতে পারবেন। ঢাকার আশেপাশে বেড়ানোর জন্য ভ্রমণের নতুন গন্তব্য হয়েছে এটি। বসুন্ধরা রিভারভিউ আবাসিক এলাকার শেষ প্রান্তেই সারিঘাটের অবস্থান।

শরতের বিকেলে অনেকেই সারি ঘাটে আসেন কাশফুলের সৌন্দর্য উপভোগের জন্য। আর ছুটির দিনে এখানে ভ্রমণপিপাসুদের ঢল নামে। সেকানে গেলে অনেক পর্যটকরাই স্বচ্ছ পানির খালে নেমে গোসল সেরে নেন।

এখানে ভ্রমণের সবচেয়ে বড় আকর্ষণ হলো কাশবন। বর্ষায় খালের পাড়ের বালিয়ারিতে কাশফুল ফোটে। শান্ত পরিবেশে প্রকৃতির কোলে কিছুটা সময় কাটাতে ভ্রমণপিপাসুরা ভিড় জমায় সারি ঘাটে।

Advertisement

কীভাবে যাবেন সারি ঘাটে?

রাজধানীর পোস্তগোলা ব্রিজ থেকে সারিঘাটের দূরত্ব মাত্র ৪ কিলোমিটার। বসুন্ধরা রিভারভিউ আবাসিক এলাকার মূল ফটক থেকে দুই কিলোমিটার। এই পথটুকু অটো রিকশায় যাওয়া যায়। অনেকে চাইলে হেঁটেও যেতে পারেন।

চাইলে যে কোনো দিনই যেতে পারেন সারি ঘাটে। কাশবন দেখতে চাইলে শরতকালেই ঢুঁ মেরে আসুন সারি ঘাট থেকে। মোটরসাইকেল, বাই-সাইকেল কিংবা প্রাইভেট কারেও যেতে পারেন সেখানে। দিতে হবে না পার্কিং ফি।

জেএমএস/এএসএম