ভ্রমণ

একদিনেই ঘুরে আসুন ঝরঝরি ঝরনায়

ঝরনার নাম শুনেই নিশ্চয়ই অবাক হচ্ছেন! পর্যটকদের কাছে কিন্তু বেশ পরিচিত এই ঝরনার নামটি। সীতাকুণ্ডে গিয়ে ঝরঝরি ঝরনার সৌন্দর্য না দেখে ফেরা দায়!

Advertisement

সীতাকুণ্ড মীরসরাই রেঞ্জ ঝরনার জন্য পর্যটকদের কাছে বিখ্যাত। এই রেঞ্জকে বলা হয় বাংলাদেশের ঝরনার স্বর্গ। অপরূপ সব ঝরনার দেখা মেলে সীতাকুণ্ডে। আরও আছে ক্যাসকেড ও ঝিরিপথ। এই রুটে মোট ট্রেইল আছে ১০টি।

সীতাকুণ্ড মীরসরাই রেঞ্জের মধ্যে সবচেয়ে রোমাঞ্চকর ও সুন্দর ট্রেইলগুলোর মধ্যে ঝরঝরি অন্যতম। ভ্রমণপীপাসুদের কাছে এটি অনেক জনপ্রিয় স্থান।

ঝরঝরি ঝরনার মনোমুগ্ধকর সৌন্দর্য দেখলে আপনি বিস্মিত হয়ে পড়বেন। প্রকৃতির মধ্য দিয়ে হেঁটে আপনি যখন ঝরনার কাছে পৌঁছাবেন তখন সব ক্লান্তি নিমিষেই দূর হয়ে যাবে।

Advertisement

ঝরঝরি ট্রেইলের ধরে ঘণ্টাখানেক হাঁটলেই প্রথমে যে ঝরনাটি দেখতে পাবেন সেটিই হলো ঝরঝরি ঝরনা। ঝরঝরির পাশ দিয়ে আরও কিছুদূর পাহাড় বেয়ে উপরে উঠলে দুটি ক্যাসকেড ও ঝরনার দেখা পাবেন।

সেখানকার সবচেয়ে সুন্দর ক্যাসকেড হলো প্রাকৃতিক সিঁড়ি। যা স্বর্গের সিঁড়ি নামেও পরিচিত। প্রাকৃতিকভাবেই সিঁড়ির মতো খাঁজকাটা। শেষ ক্যাসকেড থেকে আরও দু’ঘণ্টা ট্র্যাকিং করলে পৌঁছে যাবেন মূর্তি ঝরনায়।

একদিনের রোমাঞ্চকর ভ্রমণে অনেকেই বেছে নেন সীতাকুণ্ডের এই ঝরঝরি ট্রেইল। কারণ একসঙ্গে কয়েকটি ঝরনা দেখার লোভ সামলাতে পারেন না অনেক পর্যটকরাই।

সীতাকুণ্ড ভ্রমণে আরও যা দেখবেন

Advertisement

ঝরঝরি ট্রেইল ভ্রমণের পাশাপাশি হাতে সময় থাকলে কমলদহ ঝর্ণা, সীতাকুণ্ড ইকো পার্ক, চন্দ্রনাথ পাহাড় ও মন্দির, কুমিরা ঘাট, গুলিয়াখালী বীচ ও বাঁশবাড়িয়া বীচ ঘুরে আসতে পারেন।

কীভাবে যাবেন ঝরঝরি ঝরনায়?

ঢাকা থেকে যে কোনো বাসে করে মিরসরাই পার হয়ে পন্থিছিলা নামক বাজারে নামতে হবে। সেখানে কারও কাছ থেকে জেনে নেবেন রেললাইনের পথ কোন দিকে। এরপর সেখান থেকে বামের পথে ৪-৫ মিনিট হাঁটলেই পেয়ে যাবেন ডান দিকে মাটির রাস্তা।

ঝিরি ধরে আধাঘণ্টা হাঁটলেই ঝরঝরি ঝর্ণার দেখা পাবেন। পান্থছিলা থেকে ঝরঝরি ঝর্ণা পর্যন্ত পুরো রাস্তা প্রায় ১ ঘণ্টার। ঝরঝরি থেকে বাম দিক দিয়ে পাহাড়ের উপর দিয়ে উঠে গেলে আছে দুটি ক্যাসকেড ও একটি খুম।

পুরো ট্রেইল দেখে ফিরতে প্রায় ৫ ঘণ্টার মত সময় লাগবে। যদি চিনতে অসুবিধা হয় তবে স্থানীয় যে কাউকে বললেই রাস্তা দেখিয়ে দেবে। পুরো ট্রেইল সম্পন্ন করতে প্রয়োজনে গাইডের সাহায্য নিন।

থাকবেন ও খাবেন কোথায়?

সীতাকুণ্ডে উন্নত না হলেও সাধারণ মানের হোটেল পাবেন। তবে আরও ভালো কোথাও থাকতে চাইলে আপনাকে চট্টগ্রাম চলে আসতে হবে।

সীতাকুণ্ডে খাবার জন্য বেশ কয়েকটি হোটেল পাবেন। আর যদি চট্টগ্রাম যান তবে এখানে সব ধরনের খাবার রেস্টুরেন্ট পাবেন।

ট্রেইল ভ্রমণে সাবধানতা

>> বর্ষাকালে হঠাৎ বৃষ্টিতে ফ্ল্যাশ ফ্লাড হতে পারে। তাই সতর্ক থাকুন।>> পথ পিচ্ছিল থাকায় হাঁটার সময় সতর্ক থাকুন।>> সাঁতার না জানলে খুম থেকে সাবধান থাকুন।>> বর্ষায় গেলে সঙ্গে দড়ি রাখুন।>> ভালো গ্রীপের জুতা পরুন।>> স্থানীয়দের সঙ্গে ভালো আচরণ করুন।>> পরিবেশ নোংরা করবে না।

জেএমএস/এএসএম