গোনাহ থেকে ক্ষমা লাভের অন্যতম উপায় হচ্ছে নামাজ। নামাজের প্রতিটি রোকন ও কাজে রয়েছে ক্ষমা ও রহমত লাভের হাতছাানি। নামাজে রুকু থেকে উঠে সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে তাসবিহ পড়ায় গোনাহ মুক্তির বিষয়টিও বাদ যায়নি। হাদিসে পাকে প্রিয় নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এ তাসবিহ পাঠের বিনিময়ে গোনাহ মুক্তির বিষয়টি তুলে ধরেছেন। হাদিসে এসেছে-
Advertisement
হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘ইমাম যখন- সামিআল্লাহু লিমান হামিদাহ ‘سَمِعَ اللهُ لِمَن حَمِدَه’ বলেন; তখন তোমরা- আল্লাহুম্মা রাব্বানা ওয়া লাকাল হামদ ‘اللَّهُمَّ رَبَّناَ وَلَكَ الحَمدُ’ বলবে। কেননা, যার এ উক্তি ফেরেশতাদের উক্তির সঙ্গে একই সময়ে উচ্চারিত হয়, তার আগের সব গোনাহ মাফ করে দেয়া হয়।’ (বুখারি, মুসলিম)
সুতরাং হাদিসের নির্দেশনা অনুযায়ী গোনাহ থেকে ক্ষমা লাভে জামাআতে নামাজ পড়ার সময় রুকু থেকে দাঁড়িয়ে এ দোয়া পড়া-اللَّهُمَّ رَبَّناَ وَلَكَ الحَمدُউচ্চারণ : ‘আল্লাহুম্মা রাব্বানা ওয়া লাকাল হামদু’অর্থ : হে আল্লাহ! আপনি আমাদের প্রভু। আর সব প্রশংসা আপনারই জন্য।’
হাদিসের আলোকে এ কথা প্রতিয়মান হয় যে, বান্দা যখন জামাআতের সঙ্গে নামাজ পড়েন তখন ফেরেশতারাও নামাজে উল্লেখিত দোয়া তাসবিহগুলো মুসল্লিদের সঙ্গে পড়তে থাকেন। আর ফেরেশতাদের দোয়া পড়ার সঙ্গে বান্দার দোয়া পড়া যদি মিলে যায়, তাতেই আল্লাহ তাআলা ওই বান্দার গোনাহসমূহ ক্ষমা করে দেন। সুবহানাল্লাহ!
Advertisement
জামাআতে নামাজ পড়ার সময় একাধিক স্থানের আমলে গোনাহ মাফের কথা বলেছেন বিশ্বনবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। হাদিসের উপর যথাযথ আমল করলে জামাআতে নামাজ আদায়ের মাধ্যমেই মানুষ গোনাহ থেকে মুক্তি লাভে সক্ষম।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে যথা সময়ে যথাযথভাবে নামাজ পড়ার এবং হাদিসের উপর আমল করার মাধ্যমে নিজেদের গোনাহ মুক্ত করার তাওফিক দান করুন। আমিন।
এমএমএস/এমকেএইচ
Advertisement