করোনাভাইরাস নামক অদৃশ্য শত্রুর বিরুদ্ধে লড়ছে বিশ্ববাসী। এটি কখন কাকে ঘায়েল করে, বলা মুশকিল। এদিকে সম্প্রতি ওয়ার্ল্ড ইকনোমিক ফোরাম জানিয়েছে, ফোনের স্ক্রিনে থাকতে পারে করোনা ভাইরাস। যা সক্রিয় থাকতে পারে চার দিন। এর থেকেই জীবাণু ছড়িয়ে যেতে পারে আপনার শরীরের মধ্যে।
Advertisement
বিশেষজ্ঞদের মতে, করোনা ভাইরাস শুধু মানব শরীরে নয়, সুপ্ত অবস্থায় থেকে যেতে পারে মোবাইলের স্ক্রিনের মতো কঠিন পদার্থেও। কারণ, আপনার স্মার্টফোন এবং অন্যান্য গ্যাজেটগুলো ব্যাকটেরিয়া এবং ভাইরাসের হট বেড, যা সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ায়।
জার্নাল অব হসপিটাল ইনফেকশন অনুযায়ী, সিভিয়ার অ্যাকিউট রেসপিরেটরি সিন্ড্রোম (SARS) করোনা ভাইরাস, মিডিল ইস্ট রেসপিরেটরি সিনড্রোম (MERS) করোনা ভাইরাস অথবা এন্ডেমিক হিউম্যান (EH) করোনা ভাইরাস ৯ দিন পর্যন্ত কাঁচ, প্লাস্টিক বা ধাতব জাতীয় পদার্থের পৃষ্ঠে জীবন্ত থাকতে পারে। এর মানে হলো, যতই হাত পরিষ্কার রাখুন না কেন, আপনার ফোনটি যদি সঠিকভাবে পরিষ্কার না রাখেন তাহলে এই জীবাণু দ্বারা আপনিও আক্রান্ত হতে পারেন।
জেনে নিন বিভিন্ন গ্যাজেট জীবাণুমুক্ত করার কিছু সহজ পদ্ধতি-
Advertisement
* আপনার স্মার্টফোন বা ল্যাপটপ যদি ওয়াটারপ্রুফ হয় তবে ফোন বা ল্যাপটপটি পরিষ্কার করতে সাবান-পানি অথবা হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করুন।
* যদি ওয়াটারপ্রুফ না হয় তবে জীবাণুমুক্ত করতে স্ক্রিনটি নরম ও স্যাঁতসেঁতে মাইক্রো ফাইবার কাপড় দিয়ে পরিষ্কার করুন এবং কাপড়টি ঢাকনাযুক্ত ডাস্টবিনে ফেলে দিন।
* ফোন বা ল্যাপটপের উপরে যদি কোনো কভার থাকে তবে সেটিও স্যাঁতস্যাঁতে কাপড় দিয়ে পরিষ্কার করুন এবং কাপড়টি ফেলে দিন।
* ফোন জীবাণুমুক্ত করার জন্য দিনে দু’বার মাইক্রো ফাইবার কাপড় দিয়ে পরিষ্কার করুন।
Advertisement
* ফোন পরিষ্কার করার পর অবশ্যই সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে তারপরে ফোন ব্যবহার করবেন।
খেয়াল রাখুন:
* স্মার্টফোনের স্ক্রিনটি অ্যালকোহল দিয়ে মুছবেন না, এতে স্ক্রিন নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
* অন্য কারোর ফোন বা ল্যাপটপ স্পর্শ করা এড়িয়ে চলুন এবং আপনার জিনিস অন্যকে দেয়া থেকে বিরত থাকুন।
* ফোনের গ্লাস যদি খুব অপরিষ্কার হয় তবে তা ব্যবহার করবেন না, দ্রুত পরিবর্তন করুন।
এইচএন/জেআইএম