রাজনীতি

ভারত জমি চাওয়ায় জামায়াতের উদ্বেগ

বাংলাদেশের সীমান্তঘেঁষা আগরতলা বিমানবন্দর সম্প্রসারণের লক্ষ্যে ভারত সরকার বাংলাদেশের কাছে জমি চেয়ে যে অনুরোধ করেছে তাতে গভীর উদ্বেগ ও বিস্ময় প্রকাশ করেছে জামায়াতে ইসলামী।

Advertisement

বৃহস্পতিবার সংগঠনটির আমির মকবুল আহমাদ গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে বলেন, ‘আগরতলা বিমানবন্দর সম্প্রসারণের লক্ষ্যে ভারত সরকার বাংলাদেশের কাছে জমি চেয়ে যে অনুরোধ করেছে তাতে আমি গভীরভাবে উদ্বিগ্ন ও বিস্মিত। ভারতের এ অনুরোধে বাংলাদেশের সর্বস্তরের জনগণও গভীরভাবে উদ্বিগ্ন ও বিস্মিত।’

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ একটি ছোট দেশ। এ দেশটি বিশ্বের ঘনবসতিপূর্ণ দেশগুলোর একটি। এমনিতেই সাড়ে ১৬ কোটি জনসংখ্যার ভারে বাংলাদেশ জর্জরিত। তার ওপর ভারতের এত জমি থাকতে আগরতলা বিমানবন্দর সম্প্রসারণের লক্ষ্যে বাংলাদেশের কাছে জমি প্রদানের অনুরোধ জানানোর উদ্দেশ্য কী? বাংলাদেশ একটি স্বাধীন-সার্বভৌম দেশ। আগরতলা বিমানবন্দর সম্প্রসারণের লক্ষ্যে বাংলাদেশের ভূখণ্ড নেয়ার পরিকল্পনা বাংলাদেশের অখণ্ডতা এবং সার্বভৌমত্বের প্রতি একটি মারাত্মক হুমকি বলেই দেশবাসী বিশ্বাস করে। ভারতের এ অনুরোধ বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। কারণ এর সঙ্গে বাংলাদেশের নিরাপত্তার প্রশ্ন জড়িত।’

জামায়াতের আমির আরও বলেন, ‘আমরা বিস্ময়ের সঙ্গে লক্ষ্য করছি যে, ভারত সরকার আগরতলা বিমানবন্দর সম্প্রসারণের জন্য বাংলাদেশের কাছে জমি দানের জন্য এক বছর আগে অনুরোধ জানালেও বাংলাদেশ সরকার বিষয়টি এখন পর্যন্ত জনসম্মুখে প্রকাশ করছে না কেন? সরকার বিষয়টি রহস্যজনকভাবে গোপন রাখছে কার স্বার্থে?’

Advertisement

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের জনগণ মনে করে যে, ভারত সরকার যেখানে তিস্তা ও গঙ্গার পানি এবং তিনবিঘা করিডোরসহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুর সমাধান না করে দীর্ঘদিন ঝুঁলিয়ে রেখেছে, সেখানে নতুন করে ভারতের আগরতলা বিমানবন্দর সম্প্রসারণের জন্য বাংলাদেশের কাছে জমি চাওয়ার বিষয়টি খুবই রহস্যজনক।’

মকবুল আরও বলেন, ‘আমি আশা করি সরকার বিষয়টি দেশের জনগণের সামনে প্রকাশ করবে এবং দেশের জনগণের মতামতের ভিত্তিতে জাতীয় স্বার্থকে সমুন্নত রেখে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে। ভারতের অনুরোধের কাছে নতি স্বীকার করে সরকার জাতীয় স্বার্থবিরোধী কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করলে তা দেশের জনগণ কখনও মেনে নেবে না।’

কেএইচ/এনডিএস/পিআর

Advertisement