দেশজুড়ে

যেকোনো সময় ভেঙে পড়বে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবন

টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নের ৪৩নং থলপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শ্রেণিকক্ষের সংকট থাকায় জরাজীর্ণ ভবনে ঝুঁকি নিয়ে চলছে শিক্ষার্থীদের পাঠদান।

Advertisement

ভবনটি যেকোনো সময় ভেঙে পড়ে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। এ নিয়ে শিক্ষক, শিক্ষার্থী-অভিভাবক ও এলাকাবাসীর মধ্যে উৎকণ্ঠা ও ক্ষোভ বিরাজ করছে। ৮০ বছরের পুরনো এই বিদ্যালয়টিতে বর্তমানে ২০৯ জন শিক্ষার্থী লেখাপড়া করছে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, থলপাড়া গ্রামের কয়েকজন শিক্ষানুরাগী ১৯৩৮ সালে ঝিনাই নদীঘেঁষা প্রায় ৪৫ শতাংশ ভূমির ওপর বিদ্যালয়টি স্থাপন করেন। পরবর্তীতে বিদ্যালয়টি সরকারি হয়। বিদ্যালয়টিতে সাতজন শিক্ষক নিয়মিত পাঠদান করাচ্ছেন। বিদ্যালয়ে তিন কক্ষের একটি পাকা ভবন ও একটি টিনশেড ভবন রয়েছে। উত্তর পাশের জরাজীর্ণ টিনশেড ভবনটি খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। শ্রেণিকক্ষ সংকট থাকায় জরাজীর্ণ ভবনেই ঝুুঁকি নিয়ে শিক্ষার্থীদের পাঠদান করা হয়।

বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা জানায়, টিনশেড ভবনে ক্লাস করতে ভয় লাগে আমাদের। বৃষ্টি হলেই ক্লাস নেয়া বন্ধ থাকে। ঘরের চাল দিয়ে পানি পড়ে। বই খাতা ভিজে নষ্ট হয়ে যায়। স্যারেরা ক্লাস করতে বলে তাই করি।

Advertisement

বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের সহসভাপতি আপেল মাহমুদ বলেন, বিকল্প কোনো ব্যবস্থা না থাকায় বাধ্য হয়েই ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে শিক্ষার্থীদের পড়ানো হয়।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোতাহার হোসেন বলেন, বিদ্যালয়টিতে তিন কক্ষ বিশিষ্ট একটি পাকা ভবন রয়েছে। যার দুই কক্ষে পাঠদান করানো হয়। অফিস কক্ষের একপাশে শিশু শ্রেণির ক্লাস নেয়া হয়। শ্রেণিকক্ষ সংকটের কারণে বিকল্প না থাকায় আমরা জরাজীর্ণ ও ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের কক্ষে অন্য শ্রেণির পাঠদান কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছি। নতুন ভবনের দোতলায় তিন কক্ষের কাজ চলমান রয়েছে। সরকার এক শিফটে ক্লাস নেয়ার বিধান করায় ভবনের দোতলায় নতুন কক্ষে ক্লাস শুরু হলেও শ্রেণিকক্ষের সংকট দূর হবে না। কক্ষ সংকট থাকার কারণে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনেই পাঠদান করাতে হবে।

বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের সভাপতি মোশারফ হোসেন মন্টু বলেন, বিষয়টি স্থানীয় এমপি ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানকে জানানোর পর পাকা ভবনের দোতলায় তিন কক্ষের টেন্ডার দেয়া হয়েছে। কিন্তু ঠিকাদারের গাফিলতির কারণে দীর্ঘদিনেও কাজ শেষ না হওয়ায় শিক্ষার্থীদের পাঠদান নিয়ে বিপাকে পড়েছি আমরা।

মির্জাপুর উপজেলা শিক্ষা অফিসার মো. আলমগীর হোসেন বলেন, স্কুল ভবন সংস্কারের কাজ উপজেলা প্রশাসন করে থাকে। আমি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা বলে ভবনটিতে পাঠদানের উপযোগী করে তুলতে উদ্যোগ নেব।

Advertisement

এস এম এরশাদ/এএম/জেআইএম