জাতীয়

জটিল রোগের অস্ত্রোপচারেও সাফল্য আসছে

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, ‘একটি পরিবার, একটি প্রতিষ্ঠান ও দেশ সঠিক নেতৃত্বের কারণে উন্নত হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঠিক নেতৃত্বে দেশ ও দেশের স্বাস্থ্যসেবা ক্রমেই উন্নত হচ্ছে।’

Advertisement

তিনি বলেন, ‘দেশের সামগ্রিক উন্নয়নের শত ব্যস্ততার মাঝেও প্রধানমন্ত্রী বিএসএমএমইউতে লিভার প্রতিস্থাপনের অস্ত্রোপচার ও অস্ত্রোপচার পরবর্তী লিভার দাতা ও গ্রহিতা রোগী সম্পর্কে সার্বক্ষণিক খোঁজ খবর রেখেছেন। এমন প্রধানমন্ত্রী থাকলে দেশের স্বাস্থ্যসেবা আরও বেশি এগিয়ে যাবে।’

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) মিল্টন মিলনায়তনে বৃহস্পতিবার দুপুরে মায়ের দেয়া লিভারে সুস্থ হয়ে ওঠা যুবকের রিলিজ উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ সব কথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

সংবাদ সম্মেলনে বিএসএমএমইউ উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া, লিভার প্রতিস্থাপনে নেতৃত্বদানকারী হেপাটোবিলিয়ারি, প্যানক্রিয়েটিক ও লিভার ট্রান্সপ্ল্যান্ট সার্জারি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. জুলফিকার রহমান খানসহ উপ-উপাচার্য ও অস্ত্রোপচারে অংশগ্রহণকারী অর্ধশতাধিক চিকিৎসক দলের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া লিভার গ্রহিতা সিরাতুল ইসলাম ও তার মাও উপস্থিত ছিলেন।

Advertisement

প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘লিভার প্রতিস্থাপনে সফল অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে প্রমাণ হলো শুধু প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবায়ই নয়, জটিল রোগব্যাধির অস্ত্রোপচারেও ক্রমেই সফলতা আসছে।’

তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ম্যানিফেস্টোতেও বিভিন্ন ধরনের জটিল রোগব্যাধি-ক্যান্সার, কিডনি, হার্ট, লিভার, উচ্চরক্তচাপ ও ডায়াবেটিসসহ অন্যান্য সব জটিল রোগব্যাধির সুযোগ সুবিধা সম্প্রসারণ করার কথা বলা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে স্বাস্থ্যসেবায় সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধির মাধ্যমে উন্নত স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা হচ্ছে।’

বিএসএমএমইউর যে সব চিকিৎসক লিভার প্রতিস্থাপন অস্ত্রোপচারে অংশগ্রহণ করেছেন তাদের সবাইকে সর্বোপরি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসিকে ধন্যবাদ জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘বিএসএমএমইউতে লিভার প্রতিস্থাপনের জন্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি ও অন্যান্য সুযোগ সুবিধার ব্যাপারে সহায়তা প্রদান করা হবে।’

গত ২৪ জুন বিএসএমএমইউতে প্রথমবারের মতো লিভার প্রতিস্থাপনে (ট্রান্সপ্ল্যান্ট) সফল অস্ত্রোপচার সম্পন্ন হয়। বিএসএমএমইউর হেপাটোবিলিয়ারি, প্যানক্রিয়েটিক ও লিভার ট্রান্সপ্ল্যান্ট সার্জারি বিভাগে এ সফল অস্ত্রোপচার হয়। লিভার প্রতিস্থাপনে সহযোগিতা করেন ভারতের খ্যাতনামা লিভার ট্রান্সপ্ল্যান্ট সার্জন ড. বালাচান্দ্র মেনন ও তার চিকিৎসক দল।

Advertisement

ওইদিন ভোর ৬টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত অস্ত্রোপচার করা হয়। মোট ৬০ জনের টিম ঐতিহাসিক এ অস্ত্রোপচারে অংশ নেন। মাত্র ২৫ দিনের মাথায় সুস্থ হয়ে বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) হাসপাতাল ছাড়ছেন লিভার প্রতিস্থাপনকারী ২০ বছর বয়সী যুবক ও লিভারদাতা ৪৭ বছর বয়সী গর্ভধারিণী মা।

এমইউ/এনডিএস/এমকেএইচ