দেশজুড়ে

বগুড়ায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি

উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও অতি বর্ষণে বগুড়ায় যমুনা নদীর পানি বেড়ে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় পানি বেড়েছে ৪০ সেন্টিমিটার।

Advertisement

রোববার সকাল ৬টায় যমুনায় পানি বিপৎসীমার ৩৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। এ কারণে ধুনট, সারিয়াকান্দি ও সোনাতলা উপজেলার নদী তীরের নিম্নাঞ্চল এবং দুর্গম চর প্লাবিত হয়েছে। দুর্ভোগে পড়েছেন এলাকার হাজার হাজার মানুষ। পানি ঢুকে পড়েছে বসতবাড়িতে।

এদিকে পানি যত বাড়ছে, পানিবন্দী মানুষের দুর্ভোগ ততই বাড়ছে। পানি ঢুকে পড়ায় ২৫ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। লোকজন নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য ছুটছেন পাউবোর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে।

জানা গেছে, যমুনার ঢলে ধুনটের ভান্ডারবাড়ি ইউনিয়ন, সারিয়াকান্দির চালুয়াবাড়ি, হাটশেরপুর, কাজলা, কর্নিবাড়ি, বোহাইল, চন্দনবাইশা, কামালপুর ও কুতুবপুর ইউনিয়ন এবং সোনাতলার পাকুল্যা ও তেকানীচুকাইনগর ইউনিয়নের কমপক্ষে ৪০ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। তলিয়ে গেছে পাট, আউশ ধানসহ বিস্তীর্ণ ফসলের ক্ষেত।

Advertisement

এছাড়া সোনাতলা উপজেলার খাবুলয়িারচর, সরলিয়াচর, ভিকনেরপাড়াচর, মহেশপাড়াচর, জন্তিয়ারচর এবং খাটিয়ামারিরচরের বসতবাড়ি পানিতে তলিয়ে গেছে।

বগুড়া জেলা ত্রাণ কর্মকর্তা (ডিআরআরও) আজহার আলী মণ্ডল বলেন, পরিস্থিতি মোকাবিলায় সারিয়াকান্দিতে এক হাজার এবং সোনাতলা ও ধুনট উপজেলায় ৫০০ প্যাকেট করে শুকনো খাবার বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। জেলা ত্রাণ ভাণ্ডারে ৫০০ মেট্রিক টন চাল এবং তিন লাখ টাকা প্রস্তুত রাখা হয়েছে। জেলা ও উপজেলায় কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে।

বগুড়া পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী হাসান মাহমুদ বলেন, যমুনা নদীর সারিয়াকান্দি পয়েন্টে বিপৎসীমা ধরা হয় ১৬ দশমিক ৭০ সেন্টিমিটার। ২৪ ঘণ্টায় ৪০ সেন্টিমিটার পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। আরও এক সপ্তাহ পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকবে।

লিমন বাসার/এমএমজেড/এমএস

Advertisement