আন্তর্জাতিক

ট্রাম্পের ব্যঙ্গাত্মক কার্টুন এঁকে বিপাকে শিল্পী!

কয়েকদিন আগে বিশ্বব্যাপী ভাইরাল হয়েছিল একটি ছবি। যেখানে কাদা মাখা জলে উপুড় হয়ে পড়ে থাকতে দেখা যায় অভিবাসন প্রত্যাশী বাবা-মেয়েকে। এল সালভাদর থেকে সরাসরি মেক্সিকো সীমান্ত পেরিয়ে অবৈধ পথে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আশ্রয়ের জন্য এসেছিলেন তারা। ভেবেছিলেন নিজের স্ত্রী ও দুই বছর বয়সী সন্তানকে নিয়ে রিয়ো গ্র্যান্ডে নদী পেরিয়ে টেক্সাসে ঢুকতে পারবেন অস্কার মার্টিনেজ নামে সেই বাবা।

Advertisement

যদিও শেষ পর্যন্ত আর পার হতে পারেননি। প্রবল স্রোত ভাসিয়ে নিয়ে গেছে তাদের। চোখের সামনে নিজের স্বামী-সন্তানকে ডুবতে দেখেও কিছুই করতে পারেননি স্ত্রী। যদিও অনেক শঙ্কার পর অবশেষে গত সোমবার (১ জুলাই) সকালে এই দুজনের মরদেহ হাতে পেয়েছেন সেই নারী।

এ দিকে মর্মান্তিক এই ছবিটি ভাইরাল হওয়া মাত্রই প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শরণার্থী নীতি নিয়ে একের পর এক প্রশ্ন তুলতে থাকেন বিশ্ব নেতারা। যদিও চলমান সংকটকে ফের উস্কে দিয়েছে এমনই আরও একটি ছবি।

সেই ছবির ভাবনায় রসদ জুগিয়েছেন কানাডিয়ান ব্যঙ্গচিত্র শিল্পী মাইকেল ডি অ্যাডার। তার আঁকা ছবিটিতে এল সালভাদরের সেই বাবা-মেয়ের পাশে গল্ফ স্টিক হাতে নিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ট্রাম্প নিথর সেই দেহ দুটির দিকে তাকিয়ে বলছেন, ‘আমি যদি তোমাদের মাঝখান দিয়ে বলটা পাঠাই, তোমরা কি দুঃখ পাবে?’

Advertisement

যদিও পরবর্তীতে এই কার্টুনটিও ব্যাপকভাবে ভাইরাল হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। মাইকেল ডি অ্যাডার এতদিন কাজ করতেন একটি ফ্রিলান্স গণমাধ্যমে। সম্প্রতি তার আঁকা সেই কার্টুনটি টুইটারে প্রকাশিত হওয়ার পর থেকে দেশটির দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় কোনো বড় খবরের কাগজই তাকে দিয়ে আর কাজ করাতে চাইছে না।তবে এরই মধ্যে টুইটার এবং ফেসবুক থেকে প্রায় লক্ষাধিক বার শেয়ার হয়ে গেছে কার্টুনটি।

গত বুধবার (২৬ জুন) ছবিটি প্রথম প্রকাশ্যে আনেন মাইকেল। নিজের টুইটার অ্যাকাউন্টে তিনি জানান, এই ছবিটি পোস্টের পর থেকে তাকে আর কোনো মিডিয়া কাজ করতে নিচ্ছেন না। যদিও এর জন্য এখনো কোনো কারণ ব্যাখ্যা করা হয়নি।

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে নিয়ে তিনি যে কেবল এবারই প্রথম কার্টুন এঁকেছেন, তা কিন্তু নয়। তবুও এভাবে কেন মাইকেলকে কোণঠাসা করা হচ্ছে; তার উত্তর তিনি খুঁজে পাচ্ছেন না। যদিও মার্কিন প্রেসিডেন্টকে নিয়ে ব্যঙ্গচিত্র তৈরির দায়ে মাইকেলকে কাজ দেয়া হচ্ছে না, এ কথা মানতে নারাজ স্থানীয় গণমাধ্যমে সংশ্লিষ্ট একটি গোষ্ঠী।

তাদের মতে, কার্টুনিস্ট মাইকেলকে কাজ দেওয়া হচ্ছে না এটা ঠিক। তবে এ ঘটনার সঙ্গে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে নিয়ে আঁকা কার্টুনের কোনো সম্পর্ক নেই। 

Advertisement

জেএইচ/জেআইএম