দেশজুড়ে

একটি অন্য রকম বিয়ে

ভৈরব থানায় মঙ্গলবার রাতে একটি অন্যরকম বিয়ে (শাদি) হয়েছে। গত ২ বছর আগে ভৈরব শহরের কমলপুর গ্রামের রইছ মিয়ার ছেলে গাড়ি চালক রাসেল মিয়ার (২৬) সঙ্গে নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার পিরিজকান্দি গ্রামের আব্দুল কুদ্দুছ মিয়ার মেয়ে রুমা আক্তারের (২২) বিয়ে হয়। তারা সম্পর্কে মামাতো ফুফাতো ভাই-বোন। তাদের বিয়ের পর একটি সন্তানও হয়েছে। বিয়ের সময় কোনো কাবিন রেজিস্ট্রি হয়নি। স্বামী রাসেল বিয়ের পর থেকেই অন্য একটি মেয়ের প্রেমে পড়ে। এ নিয়ে তাদের মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া হতো। উপায় না দেখে স্ত্রী রুমা ভৈরব উপজেলা নির্বাহী অফিসার জেসমিন আক্তারের কাছে অভিযোগ করেন। অভিযোগ পেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ভৈরব থানার অফিসার ইনচার্জ বদরুল আলম তালুকদারকে আইনগত ব্যবস্থা নিতে বলেন। পরে পুলিশ রাসেলকে (স্বামী) গত মঙ্গলবার বিকেলে তার বাসা থেকে গ্রেফতার করে। রাসেলকে গ্রেফতার করা হয়েছে জেনে উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাত ১০টায় থানায় আসেন। এসময় রাসেলের স্ত্রীসহ তার অভিভাবকদের থানায় ডাকা হয়। এলাকার কিছু গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গও থানায় আসে। সবার সামনে রাসেল অঙ্গীকার করে, আমি আর পরকিয়া করবো না। কিন্তু বিধিবাম উপজেলা নির্বাহী অফিসার বললেন কথায় হবে না, বিয়ের কাবিন যেহেতু নেই তাই এখনই থানায় বসে কাবিন রেজিস্ট্রি করতে হবে। এরপর ভৈরব থানার ওসি স্থানীয় কাজীকে রাত ১১টায় থানায় ডেকে আনলেন। এখবর শুনে স্থানীয় সাংবাদিকরাও থানায় উপস্থিত হয়। ৫ লাখ টাকা দেন মোহরে থানায় বসে স্বামী স্ত্রীর কাবিন রেজিস্ট্রি করা হয়। এরপর উভয় পরিবার ও গণ্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে তাদের দুজনকে মিলিয়ে দেয়া হয়। এসময় মিষ্টিও খাওয়ানো হয় সবাইকে। এ ব্যাপারে ভৈরব উপজেলা নির্বাহী অফিসার জেসমিন আক্তার বলেন, একটি সংসার রক্ষা করতেই এ কাজটি করেছি। ভৈরব থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ বদরুল আলম তালুকদার বলেন, সংসারটি ভেঙে যাওয়ার উপক্রম হয়েছিল। এজন্য ইউএনও’র উদ্যোগে থানায় এ কাজটি সম্পন্ন করা হয়। আসাদুজ্জামান ফারুক/এমএএস/আরআইপি

Advertisement