ক্যাম্পাস

‘আমি চাই না ওই শিক্ষক আর কারও সঙ্গে এমন করুক’

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীকে উত্ত্যক্ত করার অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার (২৫ জুন) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইআর) সহকারী অধ্যাপক বিষ্ণুকুমার অধিকারীর বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন একই ইনস্টিটিউটের এক ছাত্রী।

Advertisement

ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক মো. আবুল হাসান চৌধুরী অভিযোগপত্র পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগের সত্যতা যাচাইয়ের কাজ চলছে।’

তবে এ ধরনের অভিযোগের বিষয়ে কিছুই জানেন না বলে দাবি করেছেন অভিযুক্ত ওই শিক্ষক।

ভুক্তভোগী ছাত্রী তার অভিযোগপত্রে উল্লেখ করেন, ‘আমি আমার বিভাগের শিক্ষক বিষ্ণুকুমার অধিকারীর দ্বারা বিভিন্নভাবে যৌন হয়রানি ও মানসিকভাবে হেনস্তার শিকার হই। যে কারণে আমি মানসিকভাবে অনেক বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছি। আমি পড়াশোনা এবং অন্য কোনো কাজেই মনোযোগ দিতে পারছি না। মেন্টাল ট্রমায় ভুগছি।’

Advertisement

অভিযোগপত্রে তিনি আরও বলেন, ‘কারণে-অকারণে স্যার (অভিযুক্ত শিক্ষক) আমাকে তার রুমে ডেকে নিয়ে বসিয়ে রাখেন, ফ্রি মাইন্ডের কথা বলে নানা রকম ইঙ্গিতপূর্ণ ও অশালীন কথাবার্তা বলেন, অন্য নারী শিক্ষকদের ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে অশালীন মন্তব্য করেন। শিক্ষক হিসেবে তার ক্ষমতা দেখান। তিনি আমাকে প্রায়ই রাত ১১টার পর ফোন করে কথা বলেন।’

ওই শিক্ষার্থীর সামনে অভিযুক্ত শিক্ষক বিষ্ণুকুমার অধিকারী তার এক নারী সহকর্মীর নামে শারীরিক সম্পর্কের বিষয়ে অশালীন ও কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করেন বলেও অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়।

অভিযুক্ত শিক্ষক ইনস্টিটিউটের একাধিক ছাত্রীর সামনে মেয়েদের শরীর নিয়েও নানা অশালীন কথাবার্তা বলেন এবং কোর্সের নম্বরের কথা বারবার উল্লেখ করে শিক্ষকের ক্ষমতা দেখাতেন বলে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী।

এর আগেও বিষ্ণুকুমার অধিকারীর বিরুদ্ধে ইনস্টিটিউটের সান্ধ্যকালীন কোর্সের একাধিক ছাত্রী হয়রানির অভিযোগ তুলে পরীক্ষা কমিটির চেয়ারম্যান বরাবর আবেদনপত্র দিয়ে তাকে কোর্স থেকে অব্যাহতি দেয়ার অনুরোধ করেন। ওই আবেদনের ফলে তাকে ওই ব্যাচের একাডেমিক কার্যক্রম থেকে সরিয়েও নেয়া হয়।

Advertisement

অভিযোগের বিষয়ে ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থী বলেন, ‘আমি আর মানসিকভাবে সহ্য করতে না পেরে অভিযোগ করেছি। আমি চাই না ওই শিক্ষক আমার মতো আর কারও সঙ্গে এমন করুক। আমি ন্যায্য বিচার চাই।’

এদিকে রেজিস্ট্রি ডাকযোগে অভিযোগপত্রের কপি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, উপ-উপাচার্য, রেজিস্ট্রার, জনসংযোগ প্রশাসক, প্রক্টর ও ছাত্র উপদেষ্টা বরাবর পাঠানো হয়েছে।’

সালমান শাকিল/এমবিআর/পিআর