ঠিক অপরিহার্য বলা যাবে না। তবে মাঝে প্রায় নিয়মিতই হয়ে উঠেছিলেন মোহাম্মদ মিঠুন। অল্প সময়ের মধ্যে দলের প্রয়োজনে বেশ ক’টি হাফসেঞ্চুুরি হাঁকিয়ে নিজেকে একাদশে রাখার যৌক্তিকতাও প্রমাণ করেছিলেন। সে কারণে ব্যাটিং পজিসনেরও উন্নতি ঘটেছিল।
Advertisement
‘পঞ্চ পান্ডবের ‘ অন্যতম সদস্য মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে পেছনে ফেলে মিঠুন উঠে এসেছিলেন পাঁচ নম্বরে। এবারের বিশ্বকাপেও প্রথম তিন ম্যাচ দলে ছিলেন। একমাত্র ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচটি ছাড়া বাকি দুটিতে শুরু করেছিলেন আস্থার সাথেই। তারপর বিশের ঘরে গিয়ে খেই হারিয়ে ফেলা এবং উইকেট বিসর্জন দিয়ে সাজঘরে ফেরত আসা।
তাই তো ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে একাদশ থেকে ছিটকে পড়া। আর তার বদলে দলে সুযোগ পেয়েই সে ম্যাচে লিটন দাস খেলে ফেলেছেন ৯৪ রানের এক অসাধারণ ইনিংস। সাকিব আল হাসানের অমন বীরোচিত আর মাঠ মাতানো, আলো ছড়ানো ব্যাটিংয়ের মাঝেও লিটন ঠিক জ্বলে উঠেছিলেন। ক্যারিবীয় বোলারদের অনায়াসে খেলে দলের জয়ে রেখেছিলেন অন্যতম সহায়ক ভূমিকা। তাই দলে জায়গা অনিশ্চিত হয়েছে মিঠুনের। অতিবড় মিঠুন ভক্তও ধরে নিয়েছেন লিটনের অমন ব্যাটিংয়ের পর বুঝি আর সুযোগ পাবেন না মিঠুন। তিনি নিজে কি ভাবছেন? দলে তার অবস্থান কী? সুযোগ পাওয়া, না পাওয়া নিয়ে মিঠুনের মনে কী খেলা করছে?
মিঠুন ভক্তদের মন ভাল করা খবর, মিঠুন একটুও হতাশ নন, ভেঙ্গেও পড়েননি। বরং নিজেকে তৈরি রাখতে সচেষ্ট। আজ (শনিবার) হাতে গোনা কজন মাত্র ক্রিকেটার যেচে গেছেন ঐচ্ছিক অনুশীলনে। সেখানে মিঠুন সবার আগে তৈরী হয়ে হোটেল রুম থেকে এসে টিম বাসের সামনে এসে দাঁড়ালেন।
Advertisement
পরে ম্যানেজার খালেদ মাহমুদ সুজনের সঙ্গে এসে দাঁড়ালেন স্বদেশি সাংবাদিকদের সামনে। প্রশ্ন করা হলো, আপনি তো খেলতে খেলতে বাদ পড়লেন। আপনার বদলে লিটন দাস দলে জায়গা পেয়েই দূর্বার। আপনার কেমন লাগছে? একটু বলবেন?
মিঠুন এতটুকু মুখ কালো না করে খুব সাবলীল ভাষায় জবাব দিলেন, ‘নাহ আমি মোটেই নেতিবাচক চোখে দেখিনি। কেন দেখবো? আমার জায়গায় লিটন খুব ভাল করেছে। আমি পজিটিভলি দেখছি। সবচেয়ে বড় কথা দল উপকৃত হয়েছে। লিটনের ব্যাটিংটা টিমের কাজে দিয়েছে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাথে ম্যাচ জয়ে সাকিব ভাইয়ের পাশাপাশি লিটনেরও অবদান ছিল। তারপর লিটন অস্ট্রেলিয়ার সাথে শেষ ম্যাচটাও ভাল শুরু করেছিল।’
তাহলে আপনি এখন কী ভাবছেন, কী করছেন? মিঠুনের উত্তর, ‘আমি কিছুই ভাবছি না। আমার কাজ হলো নিজেকে তৈরি রাখা। আমার বিশ্বাস যেকোন সময় আমাকে আবার প্রয়োজন হতে পারে। চেষ্টা করছি নিজের কাজটা ঠিক ঠিক করে রাখার।’ তার মানে মিঠুন আরও একটি সুযোগের অপেক্ষায় আছেন। লিটন তো নিজেকে এক ইনিংস দিয়েই অনেক ওপরে তুলে ফেলেছেন। এখন তাকে বাদ দিয়ে মিঠুনের জায়গা পাওয়া খুব কঠিন। তাই তার অপেক্ষায় থাকা ছাড়া আসলে কিছু করারও নেই।
এআরবি/এসএএস
Advertisement