নাম নিয়ে ব্যঙ্গাত্মক কথা বলায় ক্ষুব্ধ হয়ে মো. আব্দুল হাফিজ জামালকে হত্যা করে তার বন্ধু জব্বার আলী জনি (২১) ও জুনেদ (২২)।
Advertisement
সিলেট সদর উপজেলার বিআইডিসি খন্দকার মার্কেটের সামনে বন্ধুর ছুরিকাঘাতে মো. আব্দুল হাফিজ জামাল (২০) নিহতের ঘটনায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে দুই বন্ধু জব্বার আলী জনি ও জুনেদ।
এর আগে গত ১১ জুন এজাহারনামীয় আসামি জব্বার আলী জনি ও জুনেদ আদালতে আত্মসমর্পণ করলে আদালত তাদের জেলহাজতে পাঠান। এরপর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই রিপটন পুরকায়স্থ আসামিদেরকে তিন দিনের পুলিশ রিমান্ডে নিয়ে হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন।
রোববার তিন দিনের রিমান্ড শেষে আদালতে সোপর্দ করা হলে, দুই আসামি হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় নিজেদেরকে জড়িত করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি প্রদান করে।
Advertisement
স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে জনি ও জুনেদ বলেন, গত ৫ মে এলাকায় ব্যঙ্গাত্মক কথাবার্তা নিয়ে আব্দুল হাফিজ জামালের সঙ্গে তাদের মনোমালিন্য হয়। গত ৩০ মে বিকেলে আসরের নামাজ শেষে হাফিজ তার বন্ধু রবিউল ইসলাম নবেল ও কাউছারসহ বিআইডিসি খন্দকার মার্কেটের দক্ষিণ পাশের গেটের ভেতরে বসে গল্প করছিল। ওই সময় পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী হত্যার উদ্দেশ্যে জনি হাতে ছোরা নিয়ে এবং জুনেদ হাতে রামদা নিয়ে আক্রমণ করে। জনি তার হাতে থাকা ছোরা দিয়ে হাফিজের ডান পায়ের উরুতে আঘাত করে জখম করেন। এতে হাফিজ ঘটনাস্থলে লুটিয়ে পড়ে। এ সময় নিহতের বন্ধু রবিউল ইসলাম নবেল ও কাউছারের চিৎকারে আশপাশ থেকে লোকজন এগিয়ে এলে জনি ও জুনেদ পালিয়ে যায়।
এর আগে এ ঘটনায় ভিকটিম মৃত মো. আব্দুল হাফিজ জামালের নজরুল ইসলাম (৬০) বাদী হয়ে হজরত শাহপরাণ থানায় মামলা দায়ের করেন।
বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন শাহপরাণ থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবদুল কাইয়ুম।
ছামির মাহমুদ/এমএএস/জেআইএম
Advertisement