শিক্ষা

ভিকারুননিসায় অধ্যক্ষ নিয়োগ : অনিয়মে জড়িতদের বিচার দাবি

ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজে অর্থের বিনিময়ে অধ্যক্ষ নিয়োগে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানিয়েছেন অভিভাবকরা। এ লক্ষ্যে বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনিকে চিঠি দিয়েছেন তারা।

Advertisement

চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘দীর্ঘদিন পর স্বনামধন্য এ প্রতিষ্ঠানে স্থায়ী অধ্যক্ষ নিয়োগে জন্য গত ২৬ এপ্রিল একটি প্রহসনমূলক নিয়োগ প্রক্রিয়া অনুষ্ঠিত হয়। নিয়োগ কমিটির সঙ্গে একজন অধ্যক্ষ প্রার্থীর বিভিন্ন স্থানে গোপন বৈঠক এবং নগদ লেনদেনের বিনিময়ে অযোগ্য, অসৎ ও দুর্নীতিবাজ প্রার্থীকে নিয়োগের সিদ্ধান্ত হয়। পরে অভিভাবকদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে সেই নিয়োগ স্থগিত ও বাতিলের সুপারিশ করা হয়েছে। ফলে এ অবৈধ নিয়োগ প্রক্রিয়ায় জড়িত সব দুর্নীতিবাজকে আইনের আওতায় আনার দাবি জানানো হয়।

অভিভাবক নেতা মোহাম্মদ আবদুল মজিদ (সুজন) জাগো নিউজকে বলেন, আমরা চাই যোগ্য ব্যক্তিকে অধ্যক্ষ হিসেবে নিয়োগ দেয়া হোক। কিছু স্বার্থান্বেষী ব্যক্তি অধ্যক্ষ নিয়োগের নামে বাণিজ্য করছে। বিষয়টি প্রমাণিত হওয়ায় তা বাতিল করা হয়েছে।

তিনি বলেন, নিয়োগের নামে যারা বাণিজ্য করেছেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। এ দাবিতে আমরা শিক্ষা মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট সব প্রতিষ্ঠানে লিখিতভাবে জানিয়েছি। দ্রুত অপরাধীদের বিরুদ্ধে শাক্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানান তিনি।

Advertisement

এদিকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও স্কুল সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, ভিকারুননিসার অধ্যক্ষ নিয়োগ কমিটিতে ছিলেন স্কুল গভর্নিং বডির সভাপতি গোলাম আশরাফ তালুকদার, ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ফেরদৌসী বেগম, গভর্নিং বডির অভিভাবক প্রতিনিধি আতাউর রহমান ও ডা. মজিবুর রহমান হাওলাদার এবং সরকারি প্রতিনিধি হিসেবে ছিলেন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের (মাউশি) প্রশাসন শাখার পরিচালক শায়েদুল খবির চৌধুরী।

অভিযোগ রয়েছে, নিয়োগ কমিটিতে থাকা সব সদস্য মতিঝিল আইডিয়াল কলেজের ইংরেজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক রুমানা শাহীন শেফাকে ৪০ লাখ টাকা ঘুষের মাধ্যমে অধ্যক্ষ হিসেবে নিয়োগ দিতে সব ধরনের প্রক্রিয়া চূড়ান্ত করেছিল। সেফার স্বামী দুদকের উপ-পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছিরই তার স্ত্রীকে ভিকারুননিসার অধ্যক্ষ বানাতে চেয়েছিলেন। এজন্য মোট চারজনকে ৩০ লাখ টাকা ঘুষ দিয়েছিলেন। ৩০ নম্বরের নিয়োগ পরীক্ষায় সাড়ে তিন পেলেও ভিকারুননিসার পরিচালনা কমিটির কতিপয় সদস্য ও সরকারি প্রতিনিধি অধ্যাপক মো. শাহেদুল খবিরের যোগসাজশে অধ্যক্ষ হিসেবে চূড়ান্ত করা হয়। পরে অভিভাবকদের তোপের মুখে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে বিষয়টি তদন্ত করে বাতিল করা হয়।

এমএইচএম/এএইচ/এমকেএইচ

Advertisement