দেশজুড়ে

বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রীকে ভুল ইনজেকশন দেয়ার প্রমাণ মিলেছে

বঙ্গবন্ধু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী মরিয়ম সুলতানা মুন্নিকে ভুল ইনজেকশন পুশ করার অভিযোগে দুই নার্সকে অভিযুক্ত করে প্রতিবেদন দিয়েছে তদন্ত কমিটি।

Advertisement

রোববার গোপালগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের উপপরিচালক চিকিৎসক ফরিদুল ইসলাম চৌধুরীর কাছে তদন্ত কমিটি এ প্রতিবেদন জমা দেয়।

চিকিৎসক ফরিদুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, হাসপাতালের সার্জারি বিভাগের সিনিয়র স্টাফ নার্স শাহনাজ ও কুহেলিকার বিরুদ্ধে অভিযোগের প্রমাণ পাওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করেছে কমিটি।

এছাড়া মরিয়ম সুলতানা মুন্নির চিকিৎসক ও সায়েরা খাতুন মেডিকেল কলেজের সার্জারি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক তপন কুমার মন্ডলকে ভবিষ্যতে আরও পেশাদারিত্ব ও সতর্কতার সঙ্গে কর্তব্য পালনের সুপারিশ করা হয়েছে। সোমবার তদন্ত রিপোর্ট সেবা পরিদফতরের মহাপরিচালকের বরাবরে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পাঠানো হবে।

Advertisement

এদিকে, ছয়দিন অতিবাহিত হলেও জ্ঞান ফেরেনি মরিয়ম সুলতানা মুন্নির। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে রয়েছেন তিনি।

জানা যায়, মরিয়ম সুলতানা মুন্নি পিত্তথলিজনিত সমস্যায় ভুগছিলেন। শেখ সায়েরা খাতুন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সার্জারি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক আব্দুল মতিনের তত্ত্বাবধানে একই বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. তপন মন্ডলের কাছে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন মুন্নি।

গত সোমবার রাতে হঠাৎ হাসপাতালে মুন্নির পোস্ট এনেস্থেটিক একটিভিটি সম্পন্ন করা হয়। মঙ্গলবার সকালে তার অপারেশন করার কথা ছিল। সে অনুযায়ী হাসপাতালের ফিমেল ওয়ার্ডের সিনিয়র স্টাফ নার্স শাহনাজ সকালে রোগীর ফাইল না দেখে গ্যাসট্রাইটিসের ইনজেকশন সারজেলের পরিবর্তে অ্যানেস্থেসিয়ার (অজ্ঞান কারার) ইনজেকশন সারভেক ওই রোগীর শরীরে পুশ করেন। এই ইনজেকশন দেয়ার সঙ্গে সঙ্গে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন মুন্নি। তার অবস্থা দ্রুত অবনতির দিকে চলে যাওয়ায় পরিস্থিতি সামাল দিতে সংশ্লিষ্ট ডাক্তার তাকে খুলনা আবু নাসের হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন।

এ ঘটনায় হাসপাতালের সার্জারি বিভাগের চিকিৎসক মাসুদুর রহমানকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। অন্যদিকে, মুন্নির চাচা জাকির হোসেন বাদী হয়ে গোপালগঞ্জ থানায় চিকিৎসক তপন কুমার মন্ডল ও দুই নার্স শাহনাজ ও কুহেলিকাকে আসামি করে হত্যাচেষ্টার মামলা করেছেন।

Advertisement

এস এম হুমায়ূন কবীর/এএম/জেআইএম