খেলাধুলা

দুই বিশ্বকাপের মাঝে তামিমের অনন্য কীর্তি

২০১৫ থেকে ২০১৯, অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ড থেকে ইংল্যান্ড-ওয়েলস; দুই বিশ্বকাপের মাঝে সময়ের ব্যবধান চার বছর। এই চার বছরের ব্যবধানে নিজেকে দেশসেরা ব্যাটসম্যান থেকে বিশ্বসেরার কাতারে তুলেছেন বাংলাদেশের বাঁহাতি ড্যাশিং ওপেনার তামিম ইকবাল।

Advertisement

গড়েছেন প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে দুই বিশ্বকাপের মাঝে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পাঁচ হাজার রানের রেকর্ড। তামিমের এর আগে এমন কীর্তি নেই আর কোনো বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানের। ব্যাট হাতে তামিমের অসংখ্য রেকর্ডের তালিকায় নতুন করে যোগ হয়েছে এই রেকর্ডটি।

গত বিশ্বকাপের শেষ থেকে শুক্রবার আয়ারল্যান্ডে ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনাল পর্যন্ত ১১২ ম্যাচের ১৩০ ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ৪১.৭১ গড়ে ৫০০৬ রান করেছেন তামিম। এসময় ৩১টি অর্ধশতকের পাশাপাশি তার ব্যাট থেকে বেরিয়েছে ১১ টি শতরানের ইনিংস।

এ সময়ে তিনি সবচেয়ে সফল একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে। সেখান থেকেই এসেছে অর্ধেকের বেশি রান। ওয়ানডে ক্রিকেটে ৫২ ম্যাচের ৫১ ইনিংসে ব্যাট করেছে তার ঝুলিতে জমা হয়েছে ১৮টি অর্ধশতক ও ৭টি শতক, ৫৭.০৬ গড়ে করেছেন ২৫১১ রান।

Advertisement

এছাড়া টেস্ট ক্রিকেটে ২১ ম্যাচে ৪০ ইনিংসে ৪০.৬১ গড়ে করেছেন ১৫৮৪ রান এবং টি-টোয়েন্টিতে ৩৯ ম্যাচের ৩৯ ইনিংসে ব্যাট করে তামিমের সংগ্রহ ৯১১ রান, হাঁকিয়েছেন বাংলাদেশের পক্ষে একমাত্র টি-টোয়েন্টি সেঞ্চুরি।

এ তালিকায় তামিম ইকবালের পরেই রয়েছেন উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহীম। ১২৭ ম্যাচের ১৪১ ইনিংসে ব্যাট করে ৩৭.৭৯ গড়ে মুশফিক করেছেন ৪৫৩৫ রান, আছে ২৩ ফিফটি এবং ৭টি সেঞ্চুরি। ওয়ানডেতেও তার অবস্থান দ্বিতীয়তে। ৬৫ ম্যাচের ৬২ ইনিংসে ব্যাট করে ৪৮.১০ গড়ে তিনি করেন ২৪০৫ রান।

তালিকার তিনে রয়েছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। এই তালিকার শীর্ষ পাঁচ ব্যাটসম্যানের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ম্যাচে মাঠে নেমেছেন তিনি। সর্বমোট ১২৯ ম্যাচের ১৩৭ ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ৩৫.২১ গড়ে মাহমুদউলাহর সংগ্রহ ৩৫৭৮ রান।

তার পরের অবস্থানে থাকা সাকিব আল হাসান ১১২ ম্যাচ আর ১২০ ইনিংসে ৩৫.৫৯ গড়ে করেছেন ৩৭৩৭ রান। বাংলাদেশের পক্ষে শীর্ষ পাঁচ ব্যাটসম্যানের এ তালিকায় পঞ্চম নামটি সৌম্য সরকারের। গত চার বছরে খেলা ৯৮ ম্যাচের ১০৯ ইনিংসে ব্যাট করে ২৭.৮৩ গড়ে ২৯৫১ রান করেছেন সৌম্য।

Advertisement

তবে দুই বিশ্বকাপের মাঝে পাঁচ হাজার রান করা বাংলাদেশের জন্য রেকর্ড গড়লেও গত বিশ্বকাপের শেষ থেকে এ পর্যন্ত রান করার তালিকায় শীর্ষ দশেও নেই তামিম ইকবালের নাম। তিনি অবস্থান করছেন ১৩ নম্বরে। এই তালিকার শীর্ষে থাকা বিরাট কোহলি ৬৫.২৯ গড়ে করেছেন ৯৬৬৪ রান, দ্বিতীয়তে থাকা জো রুটের সংগ্রহ ৫০.৪২ গড়ে ৯০৭৭ রান।

এমএইচবি/এসএএস/জেআইএম