গাড়ি বা মোটরসাইকেল চালানোর সময় অনেকেই দ্বিধায় পড়েন-প্রথমে ক্লাচ টানবেন নাকি ব্রেক চাপবেন? সঠিকভাবে গাড়ি বা বাইক থামানোর জন্য এ দুটি কৌশলের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। ভুল পদ্ধতিতে থামালে দুর্ঘটনার আশঙ্কা বাড়তে পারে। তাই, কখন কীভাবে ক্লাচ ও ব্রেক ব্যবহার করবেন, তা পরিষ্কারভাবে বোঝা দরকার।
Advertisement
গাড়িতে সাধারণত তিনটি পেডাল থাকে। প্রথম হচ্ছে ক্লাচ, গিয়ার পরিবর্তনের জন্য ব্যবহৃত হয়। ব্রেক, যা গাড়ি ধীরে করা বা থামানোর জন্য ব্যবহৃত হয়। অ্যাক্সিলেটর, গতি বাড়ানোর জন্য ব্যবহৃত হয়।
গাড়ি যদি দ্রুত গতিতে থাকে (যেমন ৫০ কিমি/ঘণ্টা বা তার বেশি), তবে প্রথমে ব্রেক ধীরে ধীরে চাপতে হবে, যাতে গাড়ির গতি কমে। গতি একেবারে কমে এলে ক্লাচ চাপতে হবে, যাতে ইঞ্জিন বন্ধ না হয়ে যায়। প্রয়োজন হলে গিয়ার কমিয়ে দ্বিতীয় বা প্রথম গিয়ারে এনে পুরোপুরি থামতে হবে।
ধীর গতিতে চলা অবস্থায় (২০ কিমি/ঘণ্টার কম), তবে ব্রেক চাপার আগেই ক্লাচ টেনে নিতে হবে, কারণ কম গতিতে ইঞ্জিন বন্ধ হয়ে যেতে পারে। তারপর ধীরে ধীরে ব্রেক চাপতে হবে এবং সম্পূর্ণ থামানো যাবে।
Advertisement
জরুরি ব্রেক করার সময় একসঙ্গে ক্লাচ ও ব্রেক চাপতে হবে, যাতে গাড়ি দ্রুত থামে এবং ইঞ্জিন বন্ধ না হয়। এই পদ্ধতি বিশেষ করে বিপদজনক পরিস্থিতিতে জরুরি থামানোর ক্ষেত্রে কার্যকর।
এবার আসুন জেনে নেওয়া যাক বাইক থামানোর ক্ষেত্রে ক্লাচ ও ব্রেকের ভূমিকা-
মোটরসাইকেলে সাধারণত দুটি ব্রেক থাকে। সামনের ব্রেক, যা দ্রুত থামানোর জন্য কার্যকর। পেছনের ব্রেক, ধীরগতিতে থামার জন্য কার্যকর।
বাইক উচ্চ গতিতে চলা অবস্থায় প্রথমে ধীরে ধীরে পিছনের ব্রেক চাপুন, যাতে গতি কমতে শুরু করে। এরপর সামনের ব্রেক ব্যবহার করুন, কারণ এটি বেশি কার্যকর। গতি যথেষ্ট কমে গেলে ক্লাচ চাপুন এবং ধীরে থামুন।
Advertisement
ধীর গতিতে থাকলে প্রথমে ক্লাচ চেপে ধরুন, তারপর ব্রেক ব্যবহার করুন। এটি বিশেষ করে ট্রাফিক জ্যামে বা রাস্তায় ধীরগতিতে চলার সময় কার্যকর।
জরুরি থামানোর ক্ষেত্রে সামনের ও পিছনের ব্রেক একসঙ্গে চাপতে হবে, তবে ধাপে ধাপে যেন বাইক পিছলে না যায়। একইসঙ্গে ক্লাচ টানতে হবে, যাতে ইঞ্জিন বন্ধ না হয়ে যায়।
তবে এখনো প্রশ্ন থেকেই যায় কোনটি আগে ব্যবহার করবেন-ক্লাচ নাকি ব্রেক?
>> উচ্চ গতিতে চলার সময় প্রথমে ব্রেক ব্যবহার করতে হবে, তারপর ক্লাচ।
>> ধীর গতিতে চলার সময় প্রথমে ক্লাচ টানতে হবে, তারপর ব্রেক।
>> জরুরি পরিস্থিতিতে ক্লাচ ও ব্রেক একসঙ্গে চাপতে হবে।
আরও পড়ুন এক চার্জে ১৫০ কিলোমিটার চলবে রয়্যাল এনফিল্ডের ই-বাইক বাইক কিনেই কেন সার্ভিসিং করানো জরুরিসূত্র: হিন্দুস্থান অটো
কেএসকে/জিকেএস