সমাজে আইনের শাসন ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় নিজ নিজ অবস্থান থেকে অবদান রাখতে সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।
Advertisement
রোববার (২৮ এপ্রিল) জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস উপলক্ষে দেয়া এক বাণীতে শনিবার এই আহ্বান জানান তিনি।
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগের উদ্যোগে ‘জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস-২০১৯’পালিত হচ্ছে জেনে রাষ্ট্রপতি সন্তোষ প্রকাশ করেন।
তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান একটি বৈষম্যহীন, গণতান্ত্রিক ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন। এরই ধারাবাহিকতায় দেশের সংবিধানে সব নাগরিকের আইনের সমান আশ্রয়লাভকে অন্যতম মৌলিক অধিকার হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে।
Advertisement
রাষ্ট্রপতি বলেন, অসচ্ছলতা, অজ্ঞতা ও নানাবিধ আর্থ-সামাজিক প্রতিকূলতার কারণে দেশের গরিব-দুঃখী ও সহায় সম্বলহীন জনগণ অনেক ক্ষেত্রে আইনের সমান আশ্রয়লাভের অধিকার থেকে বঞ্চিত হন। সংবিধানে বর্ণিত আইনের সমান আশ্রয়লাভের অধিকারকে বাস্তব রূপ দিতে ‘জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান আইন-২০০০’ প্রণয়ন করা হয়েছে।
তিনি বলেন, জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান আইনকে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে কার্যকরের মাধ্যমে সমাজের হতদরিদ্র ও অসচ্ছল জনগোষ্ঠী বর্তমানে সরকারি খরচে আইনগত সহায়তা পাচ্ছে। সরকারের এই আইনগত সহায়তা কার্যক্রমে সবার অভিগম্যতা নিশ্চিতে জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস উদযাপন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আমার বিশ্বাস।
তিনি আরও বলেন, সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠাসহ দেশের আর্থ-সামাজিক ও টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন, ‘রূপকল্প ২০২১’ ও ‘২০৪১’ বাস্তবায়নে সরকারি আইন সহায়তা কার্যক্রমের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।
বিচারক, আইনজীবী, এনজিও কর্মী, মানবাধিকার কর্মী, উন্নয়ন সহযোগী সংস্থাসহ সংশ্লিষ্টদের সমন্বিত উদ্যোগের উপর নির্ভর করছে আইনি সহায়তা কার্যক্রমের সফলতা উল্লেখ করে তিনি ‘জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস– ২০১৯’ এর সাফল্য কামনা করেন।
Advertisement
এফএইচএস/এমএমজেড/এমএস