লাইফস্টাইল

স্বামীর সঙ্গে ঝগড়া হলে যা করবেন

দাম্পত্য সম্পর্ক যতই মধুর হোক না কেন, ঝগড়া হওয়াটা খুবই স্বাভাবিক বিষয়। বরং ঝগড়া না হওয়াটাই অস্বাভাবিক। যদি কোনো দম্পতি বলেন যে তাদের কখনো ঝগড়া হয় না, তাহলে তারা মিথ্যা বলছেন অথবা তাদের সম্পর্ক স্বাভাবিক নেই।

Advertisement

ছোট ছোট চাওয়া আর পাওয়ার মধ্যকার পার্থক্যেই হতে পারে ঝগড়ার কারণ। আর সম্পর্ক যত মধুর হবে, চাওয়া-পাওয়ার পরিমাণও ততই বাড়বে। তাই ঝগড়া মানেই যে সম্পর্ক খারাপ- এমন কিন্তু নয়।

আরও পড়ুন : প্রিয়জনের সঙ্গে ঝগড়া করলে শরীর অসুস্থ হয়!

কিন্তু কদিন পরপরই ঝগড়া হওয়াও ভালো লক্ষণ নয়। কারণ তখন ভালোবাসার থেকে ঝগড়াটাই বরং অভ্যাস হয়ে দাঁড়ায়। তাই এক্ষেত্রে একটু খেয়াল রাখতে হবে সম্পর্কটা যেন ছন্দ না হারায়।

Advertisement

সম্পর্কে শান্তি ফিরিয়ে আনতে হলে সচেষ্ট হতে হবে আপনাকেও। প্রথমেই যেটি করবেন সেটি হলো, রাগ একদমই পুষে রাখবেন না। যদি দোষটা তারই হয়, তবুও না। সংসারে শান্তি বজায় রাখতে ছোটখাট ছাড় দেয়ার মানসিকতা থাকতে হবে। কীভাবে? জেনে নিন-

মন্দ স্মৃতি ভুলে যান

সব তিক্ততার স্মৃতি ভুলে গিয়ে সুখের মুহূর্ত, প্রেমের মুহূর্তগুলো মনে রাখুন। যতবার ঝগড়ার মুহূর্তগুলো মনে করবেন, আপনার তিক্ততা বাড়বে বই কমবে না। তাই চেষ্টা করুন মাথার মধ্যে থেকে ওই দৃশ্যগুলো মুছে দিতে।

ভুল থেকে শিক্ষা নিন

Advertisement

স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়ায় কোনো এক পক্ষ সবসময় ঠিক হবেন, এটা সাধারণত হয় না। যদি মনে হয় আপনি ভুল করেছেন, সেটা মেনে নিন, তা থেকে শিক্ষা নিন। যদি স্বামীর ভুল থাকে, তা হলে পরিস্থিতি ঠান্ডা হলে সেটা তাকে স্পষ্ট করে জানান। আপনাদের মধ্যে ভালোবাসার টান থাকলে তিনি বুঝবেন।

লিখে রাখুন

কী কী বিষয় নিয়ে আপনাদের মধ্যে ঝগড়া বাধে, সেগুলো লিখে রাখতে পারেন। যখন সম্পর্ক সুন্দর থাকবে তখন দুজনে মিলে বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করুন। দাম্পত্যশান্তি বজায় রাখতে কোন কোন বিষয় বদলানো প্রয়োজন তা নিয়ে দু’জনে একটা সিদ্ধান্তে আসুন।

নিজেকে আবদ্ধ রাখবেন না

দাম্পত্য সম্পর্কের বাইরেও আপনার জীবনে গুরুত্বপূর্ণ আরও যে সব মানুষেরা আছেন, তাদের কথাও ভাবুন, তাদের সময় দিন। তাতে একঘেয়েমি থেকে মুক্তি পাবেন, দাম্পত্য সম্পর্কটাকেও অন্য চোখে দেখতে সুবিধে হবে।

আরও পড়ুন : পুরনো প্রেমিক ফিরতে চাইলে কী করবেন?

নিজেকে অপরাধী ভাববেন না

দাম্পত্যকলহ সব স্বামী-স্ত্রীর মধ্যেই হয়। তার জন্য নিজেকে অপরাধী ভাববেন না। আত্মবিশ্বাস ধরে রাখুন। আপনি যদি চাকরিজীবী হন, তা হলে পেশায় আরও ভালো কাজ করে দেখান। যদি গৃহবধূ হন, তাহলে অবসরে কিছু একটা কাজ করুন, কোনো শখ থাকলে তার চর্চা করুন। এক কথায় নিজের জন্য আলাদা একটা জায়গা তৈরি করুন। নিজেকে ভালোবাসুন।

এইচএন/এমকেএইচ