উন্নয়ন কর্মকাণ্ড এগিয়ে নেয়া, অর্থনীতিতে নতুন গতি সঞ্চার করে ‘উন্নত ও সমৃদ্ধ’ বাংলাদেশ গঠন এবং শহর-গ্রামের পার্থক্য দূর করার টার্গেট নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে বর্তমান সরকার। আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারেও এসব প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছে। প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের মাধ্যমে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ১০-এর ঘরে নিতে চায় সরকার।
Advertisement
আওয়ামী লীগ সরকার পূর্বের উন্নয়নের ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে চায়। এজন্য গত ৭ জানুয়ারি শপথ নেয়ার পরপরই মন্ত্রীরা কাজ শুরু করেন। জনসাধারণকে দেয়া প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে অগ্রাধিকার দেয়া হচ্ছে বেশ কয়েকটি বড় প্রকল্পের ওপর। নতুন সরকারের শুরু থেকে সড়ক পথের উন্নয়ন ও নদী ভাঙন রোধে নেয়া হয়েছে বিশেষ উদ্যোগ।
অর্থনৈতিক সুশাসন প্রতিষ্ঠা ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। বিশেষ করে ব্যাংক খাতে দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণে সরকার কঠোর দৃষ্টি রাখছে। উন্নয়ন প্রকল্প এগিয়ে নিতে অর্থ মন্ত্রণালয়, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় ও স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের কাজের সমন্বয়ের ওপর গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুন: স্বস্তির ১০০ দিনে ফুরফুরে সরকার
Advertisement
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রতিটি গ্রামে নাগরিক সুবিধা পৌঁছে দেয়া, যুবসমাজকে দক্ষ জনশক্তিতে রূপান্তর, কর্মসংস্থান নিশ্চতের পাশাপাশি সমৃদ্ধির অগ্রযাত্রায় বাংলাদেশকে আরও এগিয়ে নেয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়া হয় নির্বাচনী ইশতেহারে। সেসব প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে ইতোমধ্যে কাজ শুরু করে দিয়েছে ক্ষমতাসীনরা।
নির্বাচনী ইশতেহারে অর্থনৈতিক অগ্রগতির ওপর সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার প্রতিশ্রুতি দেয় টানা তৃতীয়বারের মতো ক্ষমতায় আসা আওয়ামী লীগ। গ্রামাঞ্চলের উন্নয়নে গুরুত্ব দিয়ে গ্রাম ও শহরের মধ্যে বিভেদ ঘোচানোর প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়। বর্তমানে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে যেসব বড় প্রকল্প সরকার বাস্তবায়ন করতে চায় এমন তালিকায় রয়েছে ১০টি মেগা প্রকল্প।
আরও পড়ুন : প্রতিশ্রুতি অনেক, অপেক্ষা বাস্তবায়ন দেখার
এর মধ্যে অন্যতম পদ্মা সেতু, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র, মাতারবাড়ী ১২০০ মেগাওয়াট আলট্রা সুপার কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র, ঢাকা ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিট ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট (মেট্রোরেল প্রকল্প), পদ্মা সেতু রেল সংযোগ, দোহাজারী থেকে রামু হয়ে কক্সবাজার এবং রামু থেকে মিয়ানমারের কাছাকাছি ঘুমধুম পর্যন্ত সিঙ্গেল লাইন দ্বৈতগেজ রেলপথ, মহেশখালীতে এলএনজি টার্মিনাল নির্মাণ প্রকল্প।
Advertisement
সরকার চলতি মেয়াদেই এসব প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে চায়। প্রকল্পগুলোর কাজ সঠিক সময়ে শেষ করতে কাজ চলমান রয়েছে। এজন্য প্রকল্পের দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিদেরও তাগাদা দেয়া হচ্ছে।
আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম জাগো নিউজকে বলেন, সরকারের কাছে শুধু ১০০ দিন নয়, প্রতিদিনই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সরকার আগামী ৪১ সালের মধ্যে দেশকে দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে গড়ে তোলার পরিকল্পনা নিয়েছে। ২১ শতকে কী হবে সে পরিকল্পনাও আছে আওয়ামী লীগের ইশতেহারে। ইশতেহার বাস্তবায়নে সরকার কাজ করছে।
আরও পড়ুন: বিশ্বমানের শিক্ষা বাস্তবায়নে প্রাথমিকে ১০ পদক্ষেপ
আওয়ামী লীগের অপর সাংগঠনিক সম্পাদক, পানিসম্পদ উপমন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক শামীম বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তোলার জন্য ভিশন ২০২১, ২০৪১ ও ডেল্টা প্ল্যান ২১০০ ঘোষণা করেছেন। আগামী প্রজন্ম যেন উন্নত ও সমৃদ্ধ জীবন পায় সে লক্ষ্যে কাজ করছেন। আমরা প্রধানমন্ত্রীকে সহযোগিতা করছি।
এফএইচএস/এএইচ/এমএআর/এমএস