লোহার তৈরি দ্বিতল খাট। একতলা ও দোতলার বিছানায় একই রঙের সুন্দর বালিশ, চাদর ও কম্বল বিছানো। দোতলায় ওঠার জন্য রয়েছে সিঁড়ি। এই হলো মিনা ময়দানে হজযাত্রীদের ঘুমানোর জন্য সৌদি সরকারের নির্মিত দ্বিতল খাট।
Advertisement
গত বছর থেকে সৌদি সরকার মিনায় দ্বিতল খাটের প্রচলন শুরু করেছে। প্রথম বছর ভারত ও পাকিস্তানের ৭০ হাজারেরও বেশি হজযাত্রীকে দ্বিতল খাটে রাখা হয়। এ বছর থেকে বাংলাদেশি মোট হজযাত্রীর একটা অংশকে দ্বিতল খাটে রাখার আয়োজন চলছিল। কিন্তু ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ আবদুল্লাহর বিশেষ অনুরোধে চলতি বছর বাংলাদেশি হজযাত্রীদের মিনার ময়দানে এই দ্বিতল খাটে ঘুমাতে হবে না।
তবে এখনও পর্যন্ত বলা হচ্ছে, আগামী বছর বাধ্যতামূলকভাবে বাংলাদেশি হজযাত্রীদের একাংশকে দ্বিতল খাটে ঘুমাতে হবে। মূলত সব দেশের হাজিকেই আগামী বছর থেকে দ্বিতল খাটে ঘুমাতে হবে।
সৌদি সরকারের আমন্ত্রণে বর্তমানে সৌদি রয়েছেন ধর্মপ্রতিমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ আবদুল্লাহ। সেখানে গত রোববার সৌদি হজ ব্যবস্থাপনায় মোয়াল্লিমদের সংগঠন মোয়াসসাসা জুনুব এশিয়া তথা দক্ষিণ এশীয় হাজী সেবা সংস্থার চেয়ারম্যান ড. রাফাত ইসমাইল আল বদরের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন ধর্মপ্রতিমন্ত্রী। ওই সাক্ষাতেই প্রতিমন্ত্রী বাংলাদেশি হাজিদের দ্বিতল খাটে রাখার বিষয়ে আপত্তির কথা জানান।
Advertisement
রাফাত ইসমাইলকে প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশি হজযাত্রীদের অধিকাংশই বৃদ্ধ ও নারী। সিঁড়ি বেয়ে দোতলায় উঠতে সমস্যা হবে। তাছাড়া এ বছর ঘোষিত হজ প্যাকেজেও দ্বিতল খাট বরাদ্দ বাবদ টাকা ধরা হয়নি।
এসব শুনে ড. রাফাত ইসমাইল আল বদর এ বছরের জন্য বাংলাদেশি হজযাত্রীদের দ্বিতল খাটে থাকতে হবে না বলে জানান।
কেন দ্বিতল খাট রাফাত ইসমাইল জানান, মিনা ময়দানের প্রতিটি তাঁবুতে যেটুকু জায়গা ও বিছানা প্রতি হজযাত্রীর জন্য বরাদ্দ রাখা হয় সেখানে হজযাত্রীরা ঠিকমতো নড়াচড়া ও নামাজ পড়তে পারেন না। এসব কারণে হজযাত্রীদের সুবিধার জন্যই দ্বিতল খাট তৈরি করা হয়েছে।
এমইউ/এনএফ/এমএস
Advertisement