ধর্ম

মুমিন বান্দার কুরআনি আমল যেমন হবে

মুমিন বান্দার কুরআনি আমল যেমন হবে

মুমিন বান্দা আল্লাহর নির্দেশ মোতাবেক ইবাদত ও আমলের মাধ্যমে নিজেদের জীবন পরিচালনা করে। তাদের জীবনের প্রতিটি কাজই হয় কুরআন সুন্নাহর নির্দেশক্রমে। আল্লাহ তাআলা কুরআনুল কারিমের একাধিক আয়াতে সেসব আমলের বিবরণ দিয়েছেন। আর মুমিন বান্দাও সেসব আমল পালন করে থাকে।

Advertisement

যারা কুরআন অনুযায়ী আমল ও ইবাদতের মাধ্যমে জীবন পরিচালনা করে তাদের জীবন ও সম্পদ মহান আল্লাহ তাআলা জান্নাতের বিনিময় খরিদ করে নেয়ার ঘোষণা দিয়েছে কুরআনে। আল্লাহ তাআলা বলেন-

‘নিশ্চয় আল্লাহ মুমিনদের থেকে জান্নাতের বিনিময়ে তাদের জীবন ও সম্পদের কিনে নিয়েছেন। তারা (মুমিনগণ) আল্লাহর পথে লড়াই করে। অতএব তারা (আল্লাহর পথে) মারে ও মরে। এ সম্পর্কে তাওরাত, ইঞ্জিল ও কুরআনে রয়েছে সত্য ওয়াদা।আর নিজ ওয়াদা পূরণে আল্লাহর চেয়ে অধিক কে হতে পারে? সুতরাং তোমরা (আল্লাহর সঙ্গে) যে কেনা-বেচা করেছো, সে ক্রয়-বিক্রয়ের জন্য আনন্দি হও। আর সেটাই মহাসাফল্য।’ (সুরা তাওবা : আয়াত ১১১)

আল্লাহ তাআলা ঘোষিত এ পুরস্কার ও সফলতা সেব মুমিন বান্দার জন্য যারা নিয়মিত কুরআনে ঘোষিত ইবাদত ও আমলে নিজেদের নিয়োজিত রাখে। আল্লাহ তাআলা পরবর্তী আয়াতে মুমিন বান্দার সেসব আমল ও ইবাদত তুলে ধরেছেন-

Advertisement

‘তারা (মুমিনগণ) :> তাওবাকারী,> ইবাদতকারী,> আল্লাহর প্রশংসাকারী,> রোজা পালনকারী,> রুকু সেজদাকারী,> সৎ কাজের নির্দেশদানকারী ও> অসৎ কাজের নিষেধকারী এবং> আল্লাহর নির্ধারিত সীমারেখা সংরক্ষণকারী।আর (হে রাসুল! আপনি) মুমিনদেরকে সুসংবাদ দিন।’ (সুরা তাওবা : আয়াত ১১২)

প্রত্যেক মুমিন বান্দার উচিত, কুরআনে ঘোষিত আমলগুলো অনুযায়ী জীবন পরিচালনা করা। দুনিয়ার জীবনে প্রতিটি আমলই যথাযথ আদায় করা।

আর এ আমলের মাধ্যমেই আল্লাহর সঙ্গে বান্দার এবং বান্দার সঙ্গে আল্লাহর সুসম্পর্ক তৈরি হয়। ফলে আল্লাহ তাআলা তখনই বান্দার সঙ্গে করা ওয়াদা পূরণ করবেন। সুতরাং মুমিন বান্দা আল্লাহ ঘোষিত আমলে নিজেদের নিয়োজিত রাখা। তবেই চূড়ান্ত সফলতা লাভ হবে।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে কুরআনের নির্দেশনা অনুযায়ী যথাযথ আমল ও ইবাদত করে চিরস্থায়ী জান্নাত লাভের তাওফিক দান করুন। আমিন।

Advertisement

এমএমএস/আরআইপি