তাপমাত্রা কমে গিয়ে দেশের বিস্তৃর্ণ অঞ্চলে শুরু হয়েছে শৈত্যপ্রবাহ। মৌসুমের শেষ শৈত্যপ্রবাহটি আগামী ৪ থেকে ৫ দিন থাকতে পারে। মূলত এরপরই শীত বিদায় নেবে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা।
Advertisement
মঙ্গলবার (২৯ জানুয়ারি) থেকে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের তাপমাত্রা অনেকটা কমে গেছে। এর সঙ্গে বইছে উত্তরের ঠান্ডা বাতাস। বুধবার শীত ঋতুর শেষ মাস মাঘের ১৭ তারিখ।
মঙ্গলবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল কুড়িগ্রামের রাজারহাটে ৯ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বুধবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে চুয়াডাঙ্গায় ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। একদিনের ব্যবধানে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২ দশমিক ৩ ডিগ্রি কমে গেছে।
বুধবার ঢাকায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১৪ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, একদিন আগে এই তাপমাত্রা ছিল ১৭ দশমিক ৩ ডিগ্রি।
Advertisement
তাপমাত্রা ৬ থেকে ৮ ডিগ্রির মধ্যে হলে মাঝারি ও তাপমাত্রা ৮ ডিগ্রির চেয়ে বেশি থেকে ১০ ডিগ্রির মধ্যে হলে তাকে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বলে। তাপমাত্রা ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে হলে তাকে বলে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ।
বুধবার সকাল ৯টা থেকে আগামী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে আবহাওয়া অধিদফতর জানিয়েছে, টাঙ্গাইল, গোপালগঞ্জ, মাদারীপুর, রাজশাহী, পাবনা, রংপুর, পঞ্চগড়, নীলফামারী, কুড়িগ্রাম, খুলনা, সাতক্ষীরা, চুয়াডাঙ্গা, বরিশাল, ভোলা ও মৌলভীবাজার জেলার ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে। এ সময়ে অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। শেষরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের কোথাও কোথাও হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে।
সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পেতে পারে বলেও পূর্বাভাসে বলা হয়েছে।
আবহাওয়াবিদ আরিফ হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, ‘দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ফের শৈত্যপ্রবাহ শুরু হয়েছে। এটা আগামী ৪ থেকে ৫ দিন থাকতে পারে। এরপর তাপমাত্রা ক্রমে বাড়তে থাকবে, এক সময় বিদায় নেবে শীত। ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত আমরা শীতের সময় ধরি তবে ফেব্রুয়ারির ১০ তারিখের পর শীতটা আর সেভাবে থাকে না।’
Advertisement
তিনি বলেন, ‘এখন শুধু ঢাকায় নয় বিভিন্ন অঞ্চলেই উত্তর-পশ্চিম দিকে থেকে বাতাস বইছে। হিমালয়ের পাদদেশের এলাকা থেকে এই বাতাস আসছে। শীতের সঙ্গে সঙ্গে এই বাতাসটাও থাকবে। তবে সারাদিন একই রকম থাকবে না।’
এই শৈত্যপ্রবাহ তীব্র আকার ধারণ করবে কিনা-জানতে চাইলে আরিফ হোসেন বলেন, ‘তাপমাত্রা হয়তো আরও একটু কমতে পারে। তবে তা তীব্র আকার ধারণ করার সম্ভাবনা নেই।’
এবার মৌসুমের প্রথম শৈত্যপ্রবাহ শুরু হয় গত ২৬ ডিসেম্বর, শৈত্যপ্রবাহ শেষ হয় ২৩ জানুয়ারি। এর মধ্যে মৃদু ও মাঝারি থেকে তীব্র আকারও ধারণ করে শৈত্যপ্রবাহ। এর তাপমাত্রা অনেকটাই বেড়ে গিয়ে গরম পড়তে শুরু করেছি।
আরএমএম/এসআর/পিআর