প্রাণনাশের হুমকি, পোলিং এজেন্টদের কেন্দ্র থেকে বের করে দেয়া, ভোট কারচুপি ও জালিয়াতির অভিযোগ তুলে বরিশাল-৪ (হিজলা-মেহেন্দিগঞ্জ) আসনের ঐক্যফ্রন্ট প্রার্থী জে এম নুরুর রহমান জাহাঙ্গীর নির্বাচন বর্জন করেছেন।
Advertisement
রোববার (৩০ ডিসেম্বর) দুপুর ২টার দিকে বরিশাল নগরীর রিপোর্টার্স ইউনিটিতে সংবাদ সম্মেলন করে ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন তিনি। নুরুর রহমান জাহাঙ্গীর ধানের শীষ প্রতীকে লড়ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে নুরুর রহমান জাহাঙ্গীর বলেন, গত ১৯ ডিসেম্বর আমার ওপর হামলা চালানো হয়। হামলায় আমার বাম পা ভেঙে যায়। ব্যান্ডেজ নিয়ে এখন চলাফেরা করতে হচ্ছে। এরপরও নির্বাচন থেকে সরে যায়নি। এ কারণে আমার প্রাণনাশের হুমকি দেয়া হচ্ছিল।
তিনি বলেন, আমার নেতাকর্মীদের ওপরও হামলা চালানো হয়েছে। আজও বিএনপির নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালানো হয়েছে। এর মধ্যে এক ছাত্রদল নেতার অবস্থা আশঙ্কাজনক।
Advertisement
নুরুর রহমান জাহাঙ্গীর বলেন, আজ ভোট শুরুর ২ ঘণ্টার মধ্যে ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীরা মারধর করে বিএনপির পোলিং এজেন্টদের বের দেয়। এরপর থেকে পোলিং এজেন্টদের সেন্টারের কাছেও যেতে দেয়নি। গেলেই হামলা চালানো হয়। মেরে ফেলার হুমকি দেয়া হয়। ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীরা কেন্দ্র দখল করে নৌকায় সিল মেরেছে। কয়েকটি কেন্দ্রে রাতেই নৌকার সিল মেরে অর্ধেক ব্যালট বাক্স ভরে রাখা হয়েছে।
ঐক্যফ্রন্টের এই প্রার্থী আরও বলেন, ভোট কারচুপি, জালিয়াতি, কেন্দ্র দখল ও আমিসহ বিএনপি নেতাকর্মীদের হত্যার হুমকি দেয়ার কারণে ভোট বর্জনের সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে। তা না করলে বিএনপি নেতাকর্মীদের জীবনের ঝুঁকি ছিল।
সংবাদ সম্মেলনে হিজলা ও মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলা বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, বরিশাল-৪ (হিজলা-মেহেন্দিগঞ্জ) আসনে নুরুর রহমান জাহাঙ্গীরের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ প্রার্থী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক এমপি পংকজ নাথ।
Advertisement
সাইফ আমীন/এসআর/এমএস