পর্তুগালের রাজধানী লিসবনে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের স্মরণে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালন করা হয়েছে। ১৪ ডিসেম্বর স্থানীয় সময় বেলা ১২টায় লিসবনে বাংলাদেশ দূতাবাস এই আয়োজন করে।
Advertisement
অনুষ্ঠানে নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশ নেন। সাপ্তাহিক স্বাভাবিক কর্মঘণ্টায় দূতাবাস কার্যক্রম খোলা থাকায় কনস্যুলার সেবা নিতে আসা অনেক বাংলাদেশিও অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
রাষ্ট্রদূত মো. রুহুল আলম সিদ্দীকীর সভাপতিত্বে এবং দূতালয় প্রধান হাসান আব্দুল্লাহ তৌহিদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তিলাওয়াত করেন সহকারী কনস্যুলার মো. নুর উদ্দিন।
দিবসটির তাৎপর্য তুলে ধরে রাষ্ট্রদূত মো. রুহুল আলম সিদ্দিকী বলেন, বাংলাদেশকে মেধাশূণ্য করতে ১৯৭১ সালের এই দিনে দখলদার পাক হানাদার বাহিনী ও তাদের দোসর রাজাকার, আল-বদর, আল-শামস মিলিতভাবে বেছে বেছে দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তান বুদ্ধিজীবীদের ওপর নির্মম হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছিল। তারা ধারণা করেছিল বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করলে এদেশ পিছিয়ে যাবে। কিন্তু তাদের সে উদ্দেশ্য সফল হয়নি বাংলাদেশের পিছিয়ে পড়েনি। বরং সবদিক থেকেই পাকিস্তানকে পিছনে ফেলে সামনে এগিয়ে গেছে। এখন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীও উন্নয়নে বাংলাদেশকে উদহারণ হিসেবে নেন।
Advertisement
বুদ্ধিজীবী দিবসের আলোচনায় আরও বক্তব্য রাখেন, নাঈম হাসান পাভেল এবং মো. নাঈম প্রমুখ। অনুষ্ঠানের শেষে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া ও বিশেষ মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়।
এমএমজেড/এমএস