খেলাধুলা

প্রথম বিভাগ লিগে অগ্রণী ব্যাংকের বিপক্ষে ইচ্ছে করে হারের অভিযোগ!

এক সময় বাংলাদেশের ক্রিকেটই ছিল ক্লাব কেন্দ্রিক। ঢাকার ক্লাব ক্রিকেটও ছিল সে রকম জমজমাট। প্রথমে সিনিয়র ডিভিশন, পরে প্রিমিয়ার লিগ আর প্রথম বিভাগ লিগের অনেক সুনামও ছিল। দুটি আসরই ছিল প্রতিদ্বন্দ্বীতায় ঠাসা।

Advertisement

সেই ৭০, ৮০, ৯০-এর দশক, এমনকি কয়েক বছর আগেও ক্লাব ক্রিকেট খেলতে এসেছেন অনেক বিশ্ব বরেণ্য ক্রিকেটার; কিন্তু সময়ের প্রবাহমানতায় সেই লিগের গায়ে লাগে নানা কালো দাগ।

প্রিমিয়ার লিগ কয়েক বছর ধরেই পক্ষপাতদুষ্ট আম্পায়ারিংয়ে অভিযুক্ত। আর প্রথম বিভাগ লিগে অনিয়ম, অদৃশ্য কালো হাতের ছোঁয়া এবং আম্পায়ারের পক্ষপাতিত্ব ওপেন সিক্রেট বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।

এবারও প্রথম বিভাগ, দ্বিতীয় বিভাগ লিগ নিয়ে আছে নানা অভিযোগ। যতরকম অনিয়ম এবং অবৈধ হস্তক্ষেপ আর আম্পায়ার দিয়ে খেলার ফল বদলে দেয়ার অভিযোগ প্রচুর। তা নিয়ে বিস্তর লেখালেখিও হয়েছে।

Advertisement

আজ প্রথম বিভাগ লিগের এক ম্যাচ নিয়েও উঠেছে এমন অভিযোগ। এরই মধ্যে প্রিমিয়ারে উঠে যাওয়া ওল্ডডিওএইচএসের বিপক্ষে এক গুরুত্বপূর্ণ খেলায় অফিস দল অগ্রণী ব্যাংকের ইচ্ছে করে হেরে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

ওই ম্যাচের প্রত্যক্ষদর্শীর বিবরণে জানা গেছে, ম্যাচের শেষ ওভারে ৪ উইকেট হাতে রেখে মাত্র ৪ রান দরকার হয়। এ অবস্থায় অগ্রণী ব্যাংক ব্যাটসম্যানরা একটি রানও নেননি। অভিযোগের আরও সত্যতা পাওয়া যাচ্ছে একটি বিশেষ কারণে।

তাহলো, ডিওএইচএস-এর ৮ উইকেটে করা ২৯৪ রানের (৫০ ওভারে) জবাবে অগ্রণী ব্যাংক ৪৯ ওভারে জয়ের দোরগোড়ায় পৌঁছে যায়। ওই ওভার শেষে অগ্রণী ব্যাংকের রান ছিল ৬ উইকেটে ২৯১।

কিন্তু শেষ ওভারে ব্যাংক দলটির ব্যাটসম্যানরা একটি রানও নেননি। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, ওই অবস্থায় অগ্রণী ব্যাংকের উইকেটে থাকা এক ব্যাটসম্যান, যার শেষ ওভারের প্রথম বলে স্ট্রাইকে থাকার কথা, তাকে মাঠের মাঝখান থেকে ডেকে এনে শেষ ওভারে ছয় বল ডট দেবার কথা বলা হয়। সেই ব্যাটসম্যান তা না মেনে বেরিয়ে যান মাঠ ছেড়ে। নতুন ব্যাটসম্যান ক্রিজে গিয়ে সবগুলো বল ডিফেন্স করেন। যার ফলে, ৩ রানে জিতে যায় ওল্ডডিওএইচএস ।

Advertisement

সবাই চায় জিততে; কিন্তু অগ্রণী ব্যাংক কেন ইচ্ছে করে হেরে গেল? এ প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গিয়ে বেরিয়ে এসেছে আসল তথ্য। তাহলো, অঅজকের ম্যাচের আগে পর্যন্ত অগ্রণী ব্যাংকের পয়েন্ট ২১। আর নিকট প্রতিদ্বন্দ্বী পারটেক্সের পয়েন্টও ২১। আরেক নিকট প্রতিদ্বন্দ্বী রুপগঞ্জের পয়েন্ট ১৯। আজ ওল্ডডিওএইচএস-এর বিপক্ষে অগ্রণী ব্যাংক জিতে গেলে পয়েন্ট দাঁড়াতো ২৩। এখন ব্যাংকের পয়েন্ট ২১’ই বহাল থাকবে।

আগামীকাল পারটেক্স আর রুপগঞ্জ টাইগার্সের ম্যাচ। পারটেক্স জিতলে পয়েন্ট দাঁড়াবে ২৩। তখন ওল্ডডিওএইচএস-এর পর দ্বিতীয় দল হিসেবে তারা সোজা চলে যাবে প্রিমিয়ার লিগে। আর কাল যদি রুপগঞ্জ টাইগার্স পারটেক্সকে হারিয়ে দেয় তখন পারটেক্স, অগ্রণী ব্যাংক আর রুপগঞ্জের পয়েন্ট দাঁড়াবে সমান ২১ করে। আর তাতে লাভ হবে রুপগঞ্জের। কারণ তিন দলের পয়েন্ট সমান হলে ওই তিন দলের পারস্পরিক মোকাবিলায় বেশি ম্যাচ জিতে থাকার কারণে প্রিমিয়ার লিগে চলে যাবে রুপগঞ্জ।

অভিযোগ উঠেছে রুপগঞ্জকে প্রিমিয়ারে তুলতেই নাকি এমন ছক সাজানো এবং অগ্রনী ব্যাংকের ইচ্ছে করে হেরে যাওয়া।

এআরবি/আইএইচএস/পিআর