আইন-আদালত

৩০ বছরের পুঞ্জীভূত মামলার জট নিরসনে কাজ করছি : আইনমন্ত্রী

বিগত ৩০ বছরের পুঞ্জীভূত ৩৪ লাখ মামলার জট নিরসনে আইন মন্ত্রণালয় কাজ করছে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক।

Advertisement

তিনি বলেন, এটা যখন এক লাখ, দুই লাখ ছিল, তখন যদি কোনো পদক্ষেপ নেয়া হতো তাহলে হয়তো এখন ৩৪ লাখ মামলার জটের দায়ভার নিয়ে কাজ করতে হতো না।

রোববার দুপুরে রাজধানীর বিচারপ্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে জেলাজজদের এক প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রতিষ্ঠানটির মহাপরিচালক বিচারপতি মুসা খালেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন আইন সচিব আবু সালেহ শেখ মো. জহিরুল হক প্রমুখ।

Advertisement

আইনমন্ত্রী বলেন, গত ৩০ বছরের পুঞ্জীভূত মামলার জট নিয়ে এখন আপনারা লড়াই করছেন। প্রতিনিয়ত শুনতে হচ্ছে ৩৪ লাখ মামলার জটের কথা। তারপরও বিচারপ্রার্থী জনগণকে বিচার দিতে হবে একই সঙ্গে মামলার জটও কমাতে হবে। সেই ক্ষেত্রে আমরা যে পদক্ষেপ নিয়েছি তার মধ্যে একটা হলো মামলা তাড়াতাড়ি শেষ করার ব্যবস্থা। এর পাশাপাশি দ্রুত কীভাবে মামলা শেষ করা যায় তার জন্য বিপরীত পদও খুঁজছি।

সিভিল মামলা বেগুন ক্ষেতের সঙ্গে তুলনা করে তিনি বলেন, একবার লাগালে দীর্ঘসময় ধরে ফল আসতে থাকবে। আমরা এই সংস্কৃতির পরিবর্তন করতে চাই। জনগণকে বিচার দিতে হবে। বিচার দিতে যদি আমরা দেরি করি তাহলে যেটা হবে সেটা হবে বিচারবিভাগের ব্যর্থতা। আর এরফলে স্ট্রিট জাস্টিস উইল প্রিভেন্ট (প্রাধান্য পাবে)। অনেক জায়গায় কিন্তু তাই হচ্ছে। বিচার দিতে ব্যর্থ হচ্ছে বলে স্ট্রিট জাস্টিস হ্যাব টেইকেন ওভার। আর এই স্ট্রিট জাস্টিস যদি প্রিভেন্ট করেন তাহলে এনার্কি (নৈরাজ্য) আসতে বাধ্য।

আনিসুল হক বলেন, আমরা আইনের শাসনকে কোনোভাবে প্রভাবিত করতে চাই না। এ জন্য আমাদেরকে আইনের শাসনের মধ্যে থেকেই এই সমস্যার সমাধান করতে হবে।

এ কারণে নিম্ন আদালতের বিচারকদের জন্য বেশ কিছু পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আপনারা জেলাজজ। আপনারা জনগণকে বলবেন যে মামলাগুলো সহজে নিষ্পত্তিযোগ্য সেগুলো যেন কোর্টে না এসে বাইরে তারা সমাধান করে ফেলে। এভাবে যদি তাদের উৎসাহিত করা যায়, তাহলে মনে হয় মামলার সংখ্যা অনেক কমে যাবে।

Advertisement

মন্ত্রী বলেন, একজন জেলাজজ যদি সবসময় এই ভয়ে থাকেন যে, কেউ একজন তার বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে অভিযোগ দেয় সঙ্গে সঙ্গে তার বিরুদ্ধে প্রসিডিং শুরু হয়ে যায়। সবচেয়ে আপত্তিজনক কথা হচ্ছে কাউকে অবহিত করারও প্রয়োজন হবে না। এটা ন্যায়বিচারের পরিপন্থী। সবচেয়ে বড় কথা হলো কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ আসলে তাকে প্রথমত একটা শোকজ নোটিশ দেয়ার ব্যব্স্থা থাকবে আপনারা সেটাও রাখবেন না।

এফএইচ/বিএ/এমএস