আইন-আদালত

ডিজিটাল মামলায় মইনুলের বিরুদ্ধে চার্জশিট

নারী সাংবাদিককে কটূক্তির অভিযোগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনের বিরুদ্ধে করা মামলাটির অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দিয়েছেন পুলিশ।

Advertisement

মঙ্গলবার (১৩ নভেম্বর) ঢাকা মহানগর হাকিম দেবদাস চন্দ্র অধিকারী চার্জশিটটি দেখিলাম বলে স্বাক্ষর করে বিচারের জন্য সাইবার ট্রাইব্যুনালে পাঠান। এদিন বিকালে সাইবার ট্রাইবুনালের বিচার চার্জশিট গ্রহণের জন্য ২৯ নভেম্বর দিন ধার্য করেন আদালত।

গুলশান থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা রকিবুল হাসান বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, ৯ নভেম্বর গুলশান থানার পরিদর্শক আমিনুল ইসলাম চার্জশিটটি আদালতে দাখিল করেন।

Advertisement

এর আগে ২৪ অক্টোবর ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক আস সামশ জগলুল হোসেনের আদালতে মইনুলের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে এ মামলাটি করেন আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া উপ-কমিটির সদস্য সুমনা আক্তার লিলি।

আদালত মামলাটি এজাহার হিসেবে গণ্য করার জন্য গুলশান থানাকে নির্দেশ দেন। ২৬ অক্টোবর মামলাটি এজাহার হিসেবে গণ্য করে গুলশান থানা। ২৭ অক্টোবর ঢাকা মহানগর হাকিম আদালত এজাহারটি গ্রহণ করেন।

সুমনা আক্তার মামলার অভিযোগে বলেন, ‘আমি বিভিন্ন সামাজিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত। নারী ও শিশুদের মানবাধিকার রক্ষায় কাজ করছি। গত ১৬ অক্টোবর নিজ বাসায় ৭১ টেলিভিশনের টক শো দেখছিলাম। অনুষ্ঠানের একপর্যায়ে সাংবাদিক মাসুদা ভাট্টির প্রশ্নের জবাবে আইনজীবী মইনুল তাকে ‘চরিত্রহীন’ বলে মন্তব্য করেন।"

‘মইনুল হোসেনের এ মন্তব্য নারী জাতির সম্মান হানি ঘটিয়েছে। অথচ তিনি ক্ষমা চাননি। বরং গত ২১ অক্টোবর বিকেল ৩টা থেকে ২২ অক্টোবর রাত ৯টার মধ্যে পুনরায় একটি টেলিফোন অডিও রেকর্ড ডিজিটাল ডিভাইসে প্রকাশ করেন। মইনুল হোসেন নিজে অডিও রেকর্ডটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেন।’

Advertisement

অভিযোগে আরও বলা হয, ‘মইনুল হোসেন ইংরেজি দৈনিক নিউ নেশন পত্রিকার প্যাডে প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে মাসুদা ভাট্টি সম্পর্কিত বিতর্কিত ব্যাখ্যার আড়ালে পুনরায় ফেসবুকে মাসুদা ভাট্টির ব্যক্তিগত চরিত্র জঘন্য বলে মন্তব্য করেন।’

উল্লেখ্য, গত ১৬ অক্টোবর একাত্তর টেলিভিশনের টক শোতে সাংবাদিক মাসুদা ভাট্টির এক প্রশ্নে রেগে গিয়ে মইনুল হোসেন বলেন, ‘আপনার দুঃসাহসের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ দিচ্ছি। আপনি ‘চরিত্রহীন’ বলে আমি মনে করতে চাই। আমার সঙ্গে জামায়াতের কানেকশনের কোনো প্রশ্নই নেই। আপনি যে প্রশ্ন করেছেন তা আমার জন্য অত্যন্ত বিব্রতকর।’

মইনুলের এ ধরনের বাক্য ব্যবহারে সমালোচনা শুরুর পর তার বিরুদ্ধে ঢাকাসহ দেশের বেশ কয়েকটি এলাকায় মানহানির মামলা হয়। এর মধ্যে কয়েকটিতে তিনি উচ্চ আদালত থেকে জামিন নেন।

২২ অক্টোবর এ ঘটনায় রংপুরের করা একটি মামলায় মইনুকে গ্রেফতার করে ডিবি পুলিশ। ২৩ অক্টোবর মামলায় ঢাকা মহানগর হাকিম (এসিএমএম) কায়সারুল ইসলাম তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। বর্তমানে তিনি কারাগারে রয়েছেন।

জেএ/এএইচ/এমএস