ক্যাম্পাস

ভুলেই শুরু ইবির ভর্তি পরীক্ষা

ভুল দিয়েই শুরু হলো ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা। রোববার সকাল সাড়ে ৯টায় শুরু হয় ধর্মতত্ত্ব অনুষদভুক্ত ‘এ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা।

Advertisement

তিনটি কেন্দ্রে এই ইউনিটের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এর মধ্যে অনুষদ ভবনের একটি কক্ষে প্রশ্নপত্র কম পড়ে। পরীক্ষা শুরুর ৮ মিনিট পর আল হাদিস অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিস বিভাগের অধ্যাপক আশরাফুল আলম তড়িঘড়ি করে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব গাড়িতে এসে ওই কক্ষে প্রশ্নপত্র পৌঁছে দেন। তবে কোন কক্ষে প্রশ্নপত্র কম পড়ে তা জানাতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের দুইজন সিনিয়র শিক্ষক অনুষদ ভবনের পরীক্ষার হলে দায়িত্বে থাকা সত্ত্বেও ২০ মিনিট বিলম্বে প্রবেশের অভিযোগ পাওয়া যায়।

তবে পরীক্ষার শুরুতে এ ত্রুটিটি বাদে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষা। এছাড়া আজ আরও তিন শিফটে অনুষ্ঠিত হবে মানবিক ও সমাজ বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত এবং আইন ও শরীয়াহ অনুষদভুক্ত ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা।

Advertisement

এদিকে দিনের দ্বিতীয় শিফটের ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায়ও একটি কেন্দ্রের ৬টি কক্ষে প্রশ্ন কম পড়েছে বলে জানা গেছে। মীর মশাররফ হোসেন একাডেমিক ভবনের ২৪১, ৩১৬, ৩১৭, ৩৪২, ৩৪৭ এবং ২০৫নং কক্ষে প্রশ্নপত্র কম পড়ে। প্রায় ১০ মিনিট পরে ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক মামুনুর রহমান প্রশ্নপত্র এনে বন্টন করেন ভর্তিচ্ছুদের মাঝে। পরে ওই ভর্তিচ্ছুদের সময় বাড়িয়ে দেয়া হয় বলে জানা গেছে।

এ বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক হারুন উর রশিদ আসকারী জাগো নিউজকে বলেন, প্রশ্নপত্র কম পড়েছে এরকম কোনো বিষয় আমি অবগত নই। তবে আমরা অত্যন্ত সুন্দর ও সুষ্ঠু পরিবেশের মধ্য দিয়ে ভর্তি পরীক্ষা শুরু করেছি। ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে দেশসেরা মেধাবিদের ভর্তি করা হবে এখানে।

সরেজমিনে দেখা যায়, সকাল সাড়ে ৮টা থেকেই ক্যাম্পাসের প্রধান ফটকের মাইকে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখতে সকলকে অনুরোধ জানানো হচ্ছে। প্রধান ফটকে বসানো হয়েছে ৪টি সার্চওয়ে গেট। কেন্দ্র এলাকায় পরীক্ষা চলাকলিন জরুরি অবস্থা চালু করা হয়েছে।

পরীক্ষার্থীরা ক্যাম্পাস অভ্যন্তরে প্রয়োজনীয় কাগজ-পত্র ব্যাতীত কোনো ব্যাগ বহন করতে পারবে না। এজন্য প্রধান ফটকের দুই পাশে চারটি বুথ তৈরি করেছে প্রশাসন। যার পরিচালনায় থাকবে বিএনসিসি ও রোভার স্ক্উাটের সদস্যরা।

Advertisement

এছড়াও শিক্ষক-শিক্ষার্থী এবং কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিজ আইডি কার্ড বহন করতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে বহিরাগত প্রবেশে সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।

নিরাপত্তার বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক রশিদুজ্জামান জাগো নিউজকে বলেন,উৎসবমুখর পরিবেশে কঠোর নিরাপত্তা বলয়ে শুরু হয়েছে ভর্তি পরীক্ষা। র্যাব, পুলিশ, গোয়েন্দা সদস্য ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের পাশাপাশি সার্বিক নিরাপত্তার জন্য কাজ করে যাচ্ছে প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা ও বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকসহ রোভার স্কাউট ও বিএনসিসির সদস্যরা।

ফেরদাউসুর রহমান সোহাগ/এফএ/এমএস