বেলজিয়াম আওয়ামী লীগের উদ্যোগে জেল হত্যা দিবস পালন করা হয়েছে। শনিবার স্থানীয় সময় বিকেল ৩টায় রয়েল কাশ্মীর রেস্টুরেন্টে এ দিবস পালন করা হয়। এ ছাড়া স্মরণ সভারও আয়োজন করা হয়।
Advertisement
সংগঠনের সভাপতি সহিদুল হকের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর চৌধুরী রতনের পরিচালনায় উপস্থিত ছিলেন- বেলজিয়াম আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের বিভিন্ন নেতা-কর্মীরা। বক্তারা বলেন, দেশের ইতিহাসে কালো দিন হিসেবে জেল হত্যা দিবস পরিচিত। যে কয়টি ঘটনা বাংলাদেশকে কাঙ্খিত অর্জনের পথে বাধা তৈরি করেছে, তার মধ্যে অন্যতম হলো ১৯৭৫ এর ৩ নভেম্বরের এই দিনটি।
সভায় বক্তব্য রাখেন- বেলজিয়াম আওয়ামী লীগ সহ-সভাপতি হুমায়ুন মাকসুদ (হিমু), প্রচার সম্পাদক আখতারুজ্জামান (আক্তার), দফতর সম্পাদক রাইসুল ইসলাম (রাসেল), শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক মনির হোসেন (হিরু), যুবলীগ সভাপতি খালেদ মিনহাজ, যুগ্ম সম্পাদক আব্দুর রহমান (রতন) ও ছাত্রলীগ বেলজিয়াম শাখার সদস্য শাহাদাৎ হোসেন প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট হত্যা করা হয় বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা, স্বাধীন বাংলাদেশের মহান স্থপতি, জাতির জনক ও তৎকালীন রাষ্ট্রপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। বঙ্গবন্ধু হত্যার পর জাতিকে পুরোপুরি নেতৃত্বশূন্য করতে ৪৩ বছর আগে মধ্যরাতে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে অভ্যন্তরীণ থাকা জাতির চার মহান সন্তান, জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর, জাতীয় চার নেতা বাংলাদেশের প্রথম অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ, মন্ত্রিসভার সদস্য ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী এবং এ এইস এম কামারুজ্জামানকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়।
Advertisement
সমাপনী বক্তব্যে সংগঠনের সভাপতি সহিদ বলেন, ৭১, ৭৫, ২০০৪ ও ২১ আগস্টের খুনি চক্ররা সবাই এক। তাদের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য একই সূত্রে গাঁথা। তাদের মূল উদ্দেশ্য বাঙালি জাতিকে পিঁছিয়ে দেয়া, আবারো পাকিস্তানি ভাবধারায় ফিরিয়ে নেযা, এই খুনি চক্রটি ও তাদের দোসররা এখনো সক্রিয়।
এমআরএম