দেশজুড়ে

আব্দুল মান্নান ভুঁইয়ার আসন উদ্ধার করতে চান রিকাবদার

বিএনপির সাবেক মহাসচিব ও প্রয়াত নেতা আব্দুল মান্নান ভুঁইয়ার শূন্যস্থান পূরণের দাবি উঠেছে নরসিংদীর শিবপুর বিএনপির দুর্গে। যোগ্য নেতৃত্ব, দলীয় বিশৃঙ্খলার কারণে বিগত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এই আসনে ভরাডুবি হয় বিএনপির।

Advertisement

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে জোট বেঁধেছেন এলাকাবাসী। আর আসন পুনরুদ্ধারে মরিয়া বিএনপি। তাই মান্নান ভুঁইয়ার মতো মেধাবী রাজনীতিক জ্ঞান সম্পন্ন প্রার্থী চায় এলাকাবাসী। তাই দলমত নির্বিশেষে শিবপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও অধ্যক্ষ আবুল হারিস রিকাবদার নাম এখন সাধারণ মানুষের মুখে মুখে। শিবপুর উপজেলার গ্রামবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বিএনপির দুর্গ হিসেবে পরিচিত নরসিংদী-৩ শিবপুর আসনটি। ১৯৯১ সাল থেকে ২০০৮ সাল পযর্ন্ত এই আসনটি বিএনপির সাবেক মহাসচিব ও প্রয়াত নেতা আব্দুল মান্নান ভুঁইয়ার দখলে ছিল। ওয়ান ইলেভেন পরবর্তী সময়ে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী জহিরুল হক ভুঁইয়া মোহন আসনটি পুনরুদ্ধার করেন।

২০১৪ সালের নির্বাচনে নৌকাকে পেছনে ফেলে স্বতন্ত্র প্রার্থী সিরাজুল ইসলাম মোল্লা বিজয়ী হন। তাই একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে আসন পুনরুদ্ধার চায় স্থানীয় বিএনপির সমর্থকরা।

শিবপুর এলাকার আমজাদ হোসেন ভুঁইয়া বলেন, মান্নান ভুঁইয়ার পরিপূরক না থাকায় আসনটি হারায় বিএনপি। এই আসনটি উদ্ধার করতে হলে পরিচ্ছন্ন ও মেধা প্রজ্ঞা সম্পন্ন প্রার্থীর প্রয়োজন। সেখানে সাদামনের মানুষ হিসেবে শিবপুর উপজেলাবাসীর কাছে গ্রহণযোগ্য নেতা আবুল হারিস রিকাবদারের বিকল্প নেই।

Advertisement

এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, ১৯৬৩ সালে বিএনপির সাবেক মহাসচিব আব্দুল মান্নান ভুঁইয়ার সঙ্গে বাম রাজনীতিতে জড়িত ছিলেন আবুল হারিস রিকাবদার। সেই সময় তিনি গণতান্ত্রিক আন্দোলনের প্রথম সারির নেতা ছিলেন। ১৯৬৯ এর গণঅভ্যুত্থানে সম্মুখভাগে অংশ নেন তিনি। সেই সময় গণঅভ্যুত্থানের মহানায়ক আসাদুজ্জামান আসাদ পাকবাহিনীর গুলিতে শহীদ হলেও প্রাণে বেঁচে যায় গণঅভ্যুত্থানের আরেক নায়ক আবুল হারিস রিকাবদার।

এরপর ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন। ১৯৭৬ সালে তিনি উপজেলার মাছিমপুর ইউনিয়ন পরিষদে প্রথম চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। এরপর থেকে প্রায় ২৫ বছর সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন। সততা ও দক্ষতার কারণে তাকে বাংলাদেশ চেয়ারম্যান অ্যাসোসিয়েশন পর পর দুই বার মহাসচিব নির্বাচিত করেন।

১৯৮৭ সালে গ্রামের মানুষের মধ্যে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দিতে মাছিমপুর ইউনিয়নের নিজ গ্রাম ধানুয়ায় শহীদ আসাদ কলেজিয়েট গার্লস হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজ নামে একটি প্রতিষ্ঠার গড়ে তুলেন। এরপর পেশা হিসেবে শিক্ষকতাকেই বেছে নেন তিনি। শিক্ষকতার পাশাপাশি গণমানুষের উন্নয়নের কথা চিন্তা করে রাজনীতি শুরু করেন। দীর্ঘ রাজনীতিক জীবনে মানুষের কল্যাণ করে এলাকার সর্বমহলে সুনাম কুড়িয়েছেন।

এ ব্যাপারে আবুল হারিস রিকাবদার বলেন, আসন পুনরুদ্ধারের সর্বময় চিন্তা দলীয় নীতি নির্ধারকদের। তারা যেভাবে নির্দেশনা দেবে আমরা সেভাবে কাজ করবো। আর দল যদি আমাকে মনোনয়ন দেয়, আমার বিশ্বাস আসনটি উদ্ধার করে খালেদা জিয়াকে উপহার দিতে পরবো।

Advertisement

সঞ্জিত সাহা/এমএএস/এমএস