ক্যাম্পাস

ছাত্রলীগ নেতার ইয়াবা সেবনের ছবি ভাইরাল

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাবিপ্রবি) শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি তারিকুল ইসলামের ইয়াবা সেবনের দৃশ্য ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে।

Advertisement

শুক্রবার সকাল থেকে ফেসবুকের নিউজ ফিডে তারিকুলের নিজ বাসভবনে বসে মাদক সেবনের দৃশ্যটি ঘুরতে থাকে। শুধুমাত্র ইয়াবা সেবন নয় প্রক্টরের সঙ্গে সখ্যতার সুযোগ নিয়ে ইয়াবা, গাঁজাসহ বিভিন্ন মাদকদ্রব্যের বেচাকেনার সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকারও অভিযোগ উঠেছে এ ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে।

এদিকে তারিকুলের ইয়াবা সেবনের দৃশ্য ভাইরাল হওয়ার পর থেকে সমালোচনার ঝড় উঠেছে ক্যাম্পাসে। ফেসবুকে ছাত্রলীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা ক্ষোভ প্রকাশ করছেন।

শাবিপ্রবি ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি আবু সাঈদ আকন্দ তার ফেসবুক পোস্টে লেখেন, ‘শুনে খুব ব্যথিত হলাম যে, তাকে ছবিতে যে বিশেষ দ্রব্যটি (ইয়াবা) সেবন করতে দেখছেন সে নাকি ইহার ব্যবসাও করে! হুম করতেই পারে কারণ প্রক্টরের সঙ্গে তার সম্পর্ক খুবই মধুর।’

Advertisement

এক সিনিয়র ছাত্রলীগ নেতা ইয়াবা ব্যবসার অভিযোগ তুলে বলেন, ছাত্রলীগ নেতাদের মধ্যে একমাত্র তারিকুলই একা একটি ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে থাকতো। তার সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সাবেক নেতা লোকপ্রশাসন বিভাগের ২০০৮-০৯ সেশনের শিক্ষার্থী আল আমিন থাকতো। অবৈধ ব্যবসা ছাড়া একজন ছাত্রের পক্ষে এত বিলাসবহুল জীবন পরিচালনা করা সম্ভব ছিল না।

এদিকে তারিকুলের বিরুদ্ধে শুধু মাদক সেবন বা ব্যবসা নয় ছাত্রদলের পৃষ্ঠপোষকতার অভিযোগও রয়েছে। খলিলুর রহমান ও শামীম বিশ্বাসের বিরুদ্ধে ছাত্রদলের সঙ্গে সম্পৃক্ততার প্রমাণ থাকা সত্ত্বেও তাদেরকে ছাত্রলীগে পদায়ন ও পুনর্বাসনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন তারিকুল। বর্তমানে খলিল তারিকুলের গ্রুপের প্রধান নেতা।

ভাইরাল হওয়া ছবিতে তারিকুলকে আখালিয়া এলাকার এলাহী ৯/এ নং বাসায় ইয়াবা সেবন করতে দেখা যায় বলে দাবি করেন তারিকুলের এক সময়ের ঘনিষ্ঠজনরা। ওই বাসাকে কেন্দ্র করে ইয়াবা সেবন ও ব্যবসার কার্যক্রম গড়ে ওঠে বলেও দাবি করেন তারা।

তবে সরকারের মাদকবিরোধী অভিযান শুরু হলে সিলেট নগরীর সুরমা আবাসিক এলাকায় অবস্থিত ওই বাসাটি ছেড়ে দেন তারিকুল। ওই সময় বেশ কিছু দিন তিনি আত্মগোপনেও ছিলেন।

Advertisement

তবে মাদক ব্যবসার অভিযোগ স্বীকার করে তারিকুল বলেন, আমি ইয়াবা সেবন করেছি এটা সত্য। তবে কোনো ধরনের ব্যবসার সঙ্গে জড়িত নই। আমাকে হেয় প্রতিপন্ন করতে আমার প্রতিপক্ষরা এ ধরনের কথা ছড়িয়েছে।

তারিকুলের বিষয়ে কথা বলতে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানীকে ফোনে পাওয়া যায়নি।

এমনকি প্রক্টর জহীর উদ্দিন আহমেদকে ফোন দিলেও পাওয়া যায়নি।

তবে শাবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ বলেন, মাদকের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জিরো টলারেন্স অবস্থানে রয়েছে। ক্যাম্পাসে যদি মাদকের ব্যবসা তারিকুল করে সে সম্পর্কে খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

আব্দুল্লাহ আল মনসুর/এফএ/পিআর