দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বলেছেন, ঢাকা শহরের ভূমিকম্প পরবর্তী উদ্ধার তৎপরতায় প্রাকপ্রস্তুতি প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল।
Advertisement
সোমবার জাতীয় সংসদে চট্টগ্রাম-৪ আসনের এমপি দিদারুল আলমের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, প্রস্তুতির অংশ হিসেবে ইতোমধ্যে ভূমিকম্পের পর উদ্ধার ও অনসন্ধান কাজে ব্যবহারের জন্য প্রায় ৬৩ কোটি টাকার ফর্ক লিফট, পাইলট ট্রান্সপোর্টার, এক্সাভেটর, হুইল ডোজার, ক্রেইন, মোবাইল লাইট ইউনিট ইত্যাদিসহ বেশকিছু আধুনিক যন্ত্রপাতি ক্রয়পূর্বক সংশ্লিষ্ট ব্যবহারকারী সংস্থা সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদফতর, সিটি কর্পোরেশন, কোস্ট গার্ড ইত্যাদির কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
তিনি জানান, ১৫ হাজার ৩৫২ দশমিক ৩৮ লাখ টাকা ব্যয়ে রেসকিউ ভেহিকেল পিকআপ, রিচার্জেবল সার্চলাইট, ফোল্ডেবল স্ট্রেচার, বডি ব্যাগ, ফেস/গ্যাস মাস্ক, রেসকিউ ইক্যুইপমেন্ট ফর ভলান্টিয়ার্স ও সার্চ ক্যামেরা ইত্যাদি ক্রয় করে ব্যবহারকারী সংস্থার কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
Advertisement
মন্ত্রী বলেন, আরও আধুনিক উদ্ধার ও অনুসন্ধান যন্ত্রপাতি ক্রয়ের কর্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে। ভূমিকম্প পরবর্তী অভিযানে সফল অংশগ্রহণের জন্য ৬২ হাজার আরবান সার্চ অ্যাণ্ড রেসকিউ ভলান্টিয়ার তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে এবং ইতোমধ্যে ৩০ হাজার স্বেচ্ছাসেবককে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, ভূমিকম্প পরবর্তী ধ্বংসাবশেষ অপসারণের জন্য ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেট সিটির জন্য পৃথক ডেবরেজ ম্যানেজমেন্ট প্লান এবং ডেবরেজ ম্যানেজমেন্ট গাইডলাইন্স প্রস্তুতের কাজ প্রায় শেষের পথে। এ ছাড়া ভূমিকম্পের সময়, ভূমিকম্পের পরবর্তী সময়ে সাধারণ জনগণের করণীয় সম্পর্কে বিভিন্ন টেলিভিশন চ্যানেলে বিজ্ঞাপন প্রচার ও লিফলেট বিতরণ, বিলবোর্ড স্থাপন ইত্যাদি সচেতনতামূলক কার্যক্রম নেয়া হয়েছে।
এইচএস/জেডএ/এমএস
Advertisement