ক্যাম্পাস

ঢাবি ‘ঘ’ ইউনিটে আবারও পরীক্ষা দেয়ার দাবি ছাত্রলীগের

যাচাই-বাছাই সাপেক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় 'ঘ' ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা আবারও নেয়াসহ চার দফা দাবি জানিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ। বৃহস্পতিবার ছাত্রলীগের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা সভাপতি সঞ্জিত চন্দ্র দাস ও সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসাইন সাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ দাবি জানানো হয়।

Advertisement

তাদের দাবিগুলো হলো-

যাচাই-বাছাই সাপেক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় 'ঘ' ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা পুনরায় নেয়া অথবা উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের বিশেষ পরীক্ষা নেয়ার মধ্য দিয়ে ভর্তির বিষয়ে সুস্পষ্ট প্রশাসনিক সিদ্ধান্তে আসা।

ডিজিটাল জালিয়াতি, প্রশ্নফাঁস অথবা অসদুপায় অবলম্বনকারীদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা। যথাযথ তদন্তের মাধ্যমে অসদুপায় অবলম্বনকারী, পরীক্ষার্থী ডিজিটাল জালিয়াতি কিংবা প্রশ্নফাঁসের মাধ্যমে ভর্তিকৃত সকল শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ এবং তাদের ভর্তি বাতিল করা।

Advertisement

আধুনিক যুগোপযোগী মানসম্মত ভর্তি পরীক্ষার স্বার্থে শিক্ষাবিদ, বিশেষজ্ঞ, সিনেট-সিন্ডিকেট সদস্য ও ছাত্র সংগঠনগুলোর সমন্বয়ে পলিসি ডিবেটের মাধ্যমে ভর্তি পরীক্ষা পদ্ধতি সংস্কার করা।

এদিকে প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে গঠিত তদন্ত কমিটির রিপোর্ট প্রদানের আগেই ফলাফল প্রকাশের ঘটনায় ক্ষোভ ও নিন্দা জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএনপি-জামায়াতপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন সাদা দল। তারাও এই পরীক্ষা পনরায় নেয়ার দাবি জানিয়েছেন।

অপরদিকে এই পরীক্ষার ফল বাতিল এবং ঢাবির উপাচার্যের পদত্যাগ চেয়ে সংশ্লিষ্টদের প্রতি লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ বৃহস্পতিবার বিকেলে ডাক ও রেজিস্ট্রিযোগে শিক্ষা সচিব ও ঢাবি উপাচার্যের প্রতি এই নোটিশ পাঠান।

গত শুক্রবার অনুষ্ঠিত হওয়া ‘ঘ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁসের অভিযোগ ওঠে। যে অভিযোগের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ দাবি করে ডিজিটাল জালিয়াতি হয়েছে। সমালোচনার মুখে পড়ে প্রথমে সোমবার এই পরীক্ষার ফল স্থগিত করা হয়। কিন্তু মঙ্গলবার ঠিকই ফল প্রকাশ করা হয়। অপরদিকে ইউনিটটিতে নিকট অতীতে সর্বোচ্চ ফলাফল হয়েছে, যা ক্ষেত্রবিশেষে দুই থেকে তিনগুণ। ২৬ দশমিক ২১ শতাংশ শিক্ষার্থী এতে পাস করেছেন।

Advertisement

এমনকি ‘ঘ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় রেকর্ড নম্বর পেয়ে প্রথম হওয়া ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদভুক্ত ‘গ’ ইউনিটে ফেল করেছিলেন। এই শিক্ষার্থীর নাম জিহাদ হাসান আকাশ। তিনি রাজউক উত্তরা মডেল কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেছেন। এ নিয়ে শুরু হয় আরও সমালোচনা। প্রশ্নফাঁসের সন্দেহ আরও বাড়ে।

ডিজিটাল জালিয়াতির সঙ্গে জড়িত ছয়জনকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলায় গ্রেফতার করে শাহবাগ থানা পুলিশ। উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মুহাম্মদ সামাদকে প্রধান করে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।

প্রশ্নফাঁসের পর নতুন করে পরীক্ষা নেয়ার দাবি জানায় বাম ছাত্র সংগঠনসহ কয়েকটি সংগঠন। অনশন শুরু করেন আইন বিভাগের শিক্ষার্থী আখতার হোসেন। তিনি এখন অসুস্থ হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রয়েছেন।

এমএইচ/জেডএ/জেআইএম