সারাদেশের মতো বন্দর নগরী চট্টগ্রামেও ষষ্ঠী পূজার মধ্য দিয়ে সোমবার (১৫ অক্টোবর) ভোর থেকে শুরু হয়েছে বাঙালি হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। এ উপলক্ষে নগরীর বিভিন্ন মণ্ডপ সেজেছে নান্দনিক ও বৈচিত্রপূর্ণ সাজে।
Advertisement
এদিকে, মহানগরীতে শান্তি ও সম্প্রীতি বজায় রেখে দুর্গাপূজা উদযাপনের জন্য সব ধরনের সহায়তা করা হবে বলে জানিয়েছেন সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন।
জেএমসেন হলসহ নগরের সব পূজামণ্ডপে সোমবার সকাল ৬টা ৩০ মিনিটে কল্পারম্ভের মধ্য দিয়ে ষষ্ঠী পূজা শুরু হয়। বোধন, আমন্ত্রণ ও অধিবাসের মধ্য দিয়ে ষষ্ঠী পূজা সম্পন্ন হবে। সকাল থেকে চণ্ডিপাঠে মুখরিত আছে সব মণ্ডপ। ঢাক –ঢোল, কাঁসা এবং শঙ্খের আওয়াজে মুখরিত চারপাশ।
উৎসবের দ্বিতীয় দিন মঙ্গলবার মহাসপ্তমীর পূজা অনুষ্ঠিত হবে। বুধবার মহাঅষ্টমী, সন্ধি পূজা ও কুমারী পূজা আনুষ্ঠিত হবে। বৃহষ্পতিবার হবে নবমী পূজা।
Advertisement
১৯ অক্টোবর (শুক্রবার) বিজয়া দশমীতে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্যদিয়ে সম্পন্ন হবে পাঁচ দিনব্যাপী এ উৎসব।
প্রতিবছরের ন্যায় এবারও সাড়ম্বরে দুর্গোৎসবের আয়োজন করা হয়েছে নগরের জেএমসেন হল, রামকৃষ্ণ সেবাশ্রম, চট্টেশ্বরী কালীবাড়ি, পাথরঘাটা শান্তনেশ্বরী মাতৃমন্দির, সদরঘাট কালীবাড়ি, কৈবল্যধাম রাজাপুকুর লেইন, কুসুমকুমারী স্কুল, হাজারীগলি, নালাপাড়া, রাজাপুর লেইন, টেরিবাজার, পাথরঘাটা সতীশবাবু লেইন ও আগ্রাবাদে।
এবার নগরীতে ২৫৫টি মণ্ডপে দুর্গোৎসবের আয়োজন করা হয়েছে। অপরদিকে নগরীর বাইরে বিভিন্ন উপজেলায় ১ হাজার ৮২৫টি মণ্ডপে শারদীয় দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে।
নির্বিঘ্নে পূজা অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম নগরীতে পাঁচ স্তরের ও উপজেলাগুলোতে তিন স্থরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণের কথা জানিয়েছে পুলিশ প্রশাসন।
Advertisement
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) কমিশনার মো.মাহাবুবর রহমান জানান, এবার পূজামণ্ডপের নিরাপত্তায় পুলিশ, র্যাব, আনসার সদস্যদের পাঁচ স্তরের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়া গুজব ছড়ানো ঠেকাতে বিশেষ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) নুরে আলম মিনা জানিয়েছেন, চট্টগ্রামে এক হাজার ৫১০টি মণ্ডপে পূজা হচ্ছে। এর বাইরে ৩০০টির মতো ঘরোয়া পূজার আয়োজন আছে। মণ্ডপগুলিকে তিন ক্যাটাগরিতে ভাগ করে তিনস্তরের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রতিটি মণ্ডপে আনসার সদস্য থাকবে। কিছু কিছু মণ্ডপে একজন কিংবা দু’জন করে পুলিশ সদস্যও থাকবেন।
তিনি আরও জানান, বড় মণ্ডপ, যেখানে হাজার হাজার লোক সমাগম হবে, সেখানে সাদা পোশাকে পুলিশ ও বিকেল থেকে ট্রাফিক সদস্য মোতায়েন থাকবে। তিনটি পূজামণ্ডপের জন্য একটি করে মোবাইল টিম থাকবে।
আবু আজাদ/এমএমজেড/জেআইএম