ভয়েজ কলরেট অযোক্তিকভাবে বৃদ্ধি, ইন্টারনেটের মূল্য সমন্বয় ও টেলিকম খাতে বিরাজমান নৈরাজ্য' বন্ধের দাবিতে ১ ঘণ্টা মোবাইল ফোন বন্ধ রেখে প্রতীকী ধর্মঘট পালন করেছে বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন নামে একটি সংগঠন। জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে মঙ্গলবার এ প্রতীকী ধর্মঘট পালন করা হয়।
Advertisement
কর্মসূচিতে সংগঠনের সভাপতি মহিউদ্দীন আহমেদ বলেন, টেলিফোন খাতে বর্তমানে নৈরাজ্য দেশের যেকোনো সেক্টরকে হার মানিয়েছে। গত ১৪ ফেব্রুয়ারি সরকার যখন ফোর-জি চালু করে তখন হঠাৎ সিম রিপ্লেসমেন্টের নামে গ্রাহকদের কাছে অতিরিক্ত ১২০ টাকা আদায় করা হয়। চলতি বাজেটে ইন্টারনেটের ওপর ১০ শতাংস ভ্যাট প্রত্যাহার করা হলেও তা এখনও বাস্তবায়ন হয়নি। এটি কেন বাস্তবায়ন করা যাচ্ছে না তা জাতির কাছে একটি প্রশ্ন?
তিনি আরও বলেন, গত ১ অক্টোবর রাত ১২ টা থেজে নাম্বার অপরিবর্তিত রেখে অপারেটর পরিবর্তন শুরু হয়। এখানেও দেখা যায় পূর্ব নির্ধারিত ৩০ টাকা ও ১৫ শতাংশ ভ্যাট আদায় করার কথা থাকলেও এমএনপি চালুর দুদিন আগে জানা গেল এনএমপি চার্জ ৫০ টাকা, ভ্যাট ১৫ শতাংস। সেই সঙ্গে সিম রিপ্লেসমেন্ট ভ্যাট ১০০ টাকা গ্রাহককে দিতে হবে।
মহিউদ্দীন আহমেদ বলেন, এভাবে একের পর এক প্রযুক্তি সম্প্রসারণের নামে গ্রাহকদের কাছ থেকে অযৌক্তিকভাবে অর্থ আদায় করা হচ্ছে। অপারেটরদের দৌরাত্ম্যের কাছে অসহায় নিয়ন্ত্রণ সংস্থা। গ্রাহকদের সুরক্ষা দিতে সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয় ও নিয়ন্ত্রণ সংস্থা।
Advertisement
তিনি বলেন, আমরা দাবি জানিয়ে আসছিলাম অফনেট-অননেট বাতিল করে ২৫ পয়সা কলরেট করার। কিন্তু দুঃখের বিষয় আজ পর্যন্ত নিয়ন্ত্রণ সংস্থা বা মন্ত্রণালয়ের কাছ থেকে আমরা কোনো ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ পাইনি। যদি কলরেট ও ইন্টারনেটের মূল্য কমানোর সঙ্গে নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণসহ কথায় কথায় অতিরক্ত অর্থ আদায় বন্ধ করা না হয় তাহলে আমরা সারাদেশের গ্রাহকদের নিয়ে বৃহত্তর আন্দোলন কর্মসূচিতে যেতে বাধ্য হব।
কর্মসূচিতে আরও উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশনের প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর কাজী মাহফুজ, সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যাপক হুমায়ুন কবির হিরু, জাগো বাঙালির সভাপতি হাবিবুর রহমান, সংগঠনের মহাসচিব অ্যাডভোকেট আবু বক্কর সিদ্দিক, আইন সম্পাদক অ্যাডভোকেট ইসরাত হাসান প্রমুখ।
এএস/এনডিএস/জেআইএম
Advertisement