জাতীয়

আইকাও সেফটি অ্যাওয়ার্ড পাচ্ছে বেবিচক

বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ-বেবিচকের সেফটি ওভারসাইট কার্যক্রমের ব্যাংকিং বৃদ্ধিতে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছে বিমান বাংলাদেশ ও ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স। এই দুই এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট সেফটি যাচাই করে ইন্টারন্যাশনাল সিভিল এভিয়েশন অর্গানাইজেশনের (আইকাও) ৫০ দশমিক ৮১ থেকে ৭৫-এ উন্নীত করা হয়েছে বেবিচককে। যা দক্ষিণ এশিয়ার অনেক প্রভাবশালী দেশের চেয়েও শীর্ষে।

Advertisement

এ সূচকের কারণেই বাংলাদেশকে চলতি বছর আইকাও সেফটি অ্যাওয়ার্ডের দেয়ার জন্য মনোনীত করা হয়েছে। মন্ট্রিয়লে আইকাও এর সদর দফতরে মঙ্গলবার (৯ অক্টোবর) ইন্টারন্যাশনাল এয়ার নেভিগেশন কনফারেন্সে এই অ্যাওয়ার্ড দেয়া হবে। এর মধ্যদিয়ে দক্ষিণ এশিয়ার এভিয়েশন মোড়ল হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। বেবিচক সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

ইউনিভার্সেল ওভারসাইট সেফটি অডিট প্রোগ্রাম ২০১৭ সালের এক প্রতিবেদনের উদ্ধৃতি দিয়ে বেবিচকের ফ্লাইট সেফটি বিভাগের পরিচালক উইং কমান্ডার চৌধুরী জিয়াউল কবীর জাগো নিউজকে জানান, ৮টি পরিমিতির ৫টিতেই কার্যকর বাস্তবায়নে বৈশ্বিক গড় স্কোর পেতে ব্যর্থ হয়েছে ভারত। যে ৮টি বিষয়ের ওপর বিমান নিরাপত্তার বিষয়টি বিবেচনা করা হয় সেগুলো হলো- ব্যবস্থাপনা, প্রতিষ্ঠান, লাইসেন্স, অপারেশন, বিমান পরিচালনা যোগ্যতা, দুর্ঘটনার তদন্ত, বিমান পরিভ্রমণ সেবা এবং বিমানবন্দর। এসব সূচকে বাংলাদেশের স্কোর ৭৬ যেখানে ভারতের স্কোর হচ্ছে ৫৭।

এই অর্জনকে বিশেষ কোনো এয়ারলাইন্সের না বলে গোটা বাংলাদেশের বললেন উইং কমান্ডার চৌধুরী জিয়াউল কবীর। তিনি বলেন, এতে বিশ্বে বাংলাদেশের বেসামরিক বিমান চলাচল খাতের একটা শক্ত অবস্থান তৈরি হয়েছে। অভাবনীয় এই সাফল্য অর্জনের স্বীকৃতিস্বরূপ মঙ্গলবার আনুষ্ঠানিকভাবে এই অ্যাওয়ার্ড গ্রহণ করবো আমরা।

Advertisement

কানাডার মন্ট্রিয়লে আইকাও সদর দফতরের জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানে অংশ নিতে আজ রোববার বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রনালয়ের সচিব মুহিবুুল হক ও বেবিচক চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল নাইম হাসানের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল কানাডা সফরে যাচ্ছেন। আইকাও আয়োজিত শীর্ষ পর্যায়ের ১৩তম এয়ার নেভিগেশন কনফারেন্স উপলক্ষে এ অ্যাওয়ার্ড দেয়া হচ্ছে।

জানতে চাইলে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের প্রধান নির্বাহী ইমরান আসিফ বলেন, সেফটি বিষয়ে আমাদের দৃষ্টি সর্বাগ্রে। দেশ-বিদেশের প্রকৌশলীদের সমন্বয়ে ইউএস-বাংলায় রয়েছে আন্তর্জাতিক মানের সেফটি নিশ্চয়তা।

বেবিচকের উন্নয়নের ক্ষেত্রগুলো জানতে চাইলে চৌধুরী জিয়াউল কবীর বলেন, বছরখানেক আগে সিভিল এভিয়েশন অথরিটি অ্যাক্ট ও সিভিল এভিয়েশন অ্যাক্ট প্রণয়ন করা হয়। আইকাও এনেক্স অনুযায়ী সবক্ষেত্রে মান বাড়ানো হয়েছে। এয়ার নেভিগেশনেও আনা হয়েছে ব্যাপক সংস্কার ও পরিবর্তন। ভিএইচআর, আইওভি, রাডার, এটিসি ও কমিউনিকেশনে যথেষ্ট উন্নয়ন ঘটানো হয়েছে। প্রকৌশল বিভাগে এরোড্রাম গ্রাউন্ড এইড (আগা) বিভাগেও ব্যাপক উন্নতি হয়েছে চোখে পড়ার মতো। রানওয়ে সংস্কার, লাইটিং, সারফেস, টারমার্ক, এপ্রোন, এয়ার সাইটে গত কয়েক বছরে উন্নতি ঘটানো হয়েছে।

উল্লেখ্য, এভিয়েশনের নিরাপত্তা ব্যবস্থায় সার্বিক উন্নতি, দক্ষতা ও পেশাদারিত্বের শ্রেষ্ঠত্বের স্বীকৃতিস্বরূপ এই সেফটি অ্যাওয়ার্ড দেয়া হয়। আইকাও এর বিচারে বাংলাদেশের সিভিল এভিয়েশন গত তিন বছরে নিরাপত্তাসহ অন্যান্য সেক্টরে যথেষ্ট উন্নতি করেছে যা বিশ্বমানের।

Advertisement

আরএম/এমবিআর/জেআইএম