গ্যাসের অবৈধ ব্যবহার শনাক্তকরণ এবং উচ্ছেদ অভিযানের চলমান কার্যক্রমের অংশ হিসেবে রাজধানীর মানিকনগর ও রামপুরা এলাকায় অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেছে তিতাস গ্যাস।
Advertisement
বুধবার (২২ জানুয়ারি) তিতাস গ্যাস টিঅ্যান্ডডি পিএলসির ব্যবস্থাপক (মিডিয়া ও জনসংযোগ) মো. আল আমিনের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, মঙ্গলবার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মিল্টন রায়ের নেতৃত্বে মেঢাবিবি-৩ এর আওতাধীন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের পূর্ব মানিকনগর এলাকায় অবৈধ বিতরণ লাইন উচ্ছেদের লক্ষ্যে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। অভিযানে উত্তর মানিকনগর বালুর মাঠ পাকা রাস্তা এলাকায় স্থানীয় কয়েকটি বাড়িতে অবৈধ লাইনের মাধ্যমে গ্যাসের সংযোগ পাওয়া যায়। এ সময় তাৎক্ষণিকভাবে প্রায় ১৩টি বাসার ৭৫টি অবৈধ চুলার গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে লাইন বন্ধ করা হয়। এতে প্রতিদিন রাষ্ট্রের ১৫৭৫ সিএফটি গ্যাস সাশ্রয় হবে।
আরও পড়ুন খিলগাঁওয়ে গ্যাসের অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন, লাখ টাকা জরিমানা চার মাসে সাড়ে ১৮ হাজার অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন ৪ মাসে ১৬ হাজারের বেশি অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্নঅবৈধভাবে গ্যাস লাইন ব্যবহার করায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে বাংলাদেশ গ্যাস আইন, ২০১০ এর ১২(১) ধারা মোতাবেক পাঁচটি পৃথক মামলায় ৮৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ড করা হয় এবং তাৎক্ষণিকভাবে তা আদায় করা হয়। অভিযান পরিচালনাকালে সংশ্লিষ্ট উপ-মহাব্যবস্থাপক, ব্যবস্থাপকসহ কোম্পানির অন্যান্য কর্মকর্তা কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
Advertisement
এছাড়াও এলপিজি গ্যাসের লাইসেন্স না থাকায় এইচটি এইচ রিফুয়েলিং স্টেশন, রামপুরাকে বিষ্ফোরক আইনে ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড প্রদান এবং তাৎক্ষণিক তা আদায় করা হয়েছে। এ সময় বিষ্ফোরক পরিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. আলীম ও বিষ্ফোরক পরিদর্শক সানজিদা আক্তার উপস্থিত ছিলেন।
২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর হতে ২১ জানুয়ারি পর্যন্ত অভিযান পরিচালনা করে ১৬১টি শিল্প, ৯৬টি বাণিজ্যিক ও ১৯ হাজার ৭১১টি আবাসিকসহ মোট ১৯ হাজার ৯৬৮টি অবৈধ গ্যাস সংযোগ ও ৪৬ হাজার ৫৩৬টি বার্নার বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। এসব অভিযানসমূহে ৯৭ কিলোমিটার পাইপলাইন অপসারণ করা হয়েছে।
অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্নের লক্ষ্যে তিতাস গ্যাসের আওতাধীন ডেমরা, কেরানীগঞ্জ, কামরাঙ্গীরচর, মুন্সীগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ, সাভার, টঙ্গী, গাজীপুর, ধানমন্ডি, মিরপুর, গুলশান, ময়মনসিংহ, মেঘনাঘাট ও নরসিংদী এলাকায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট-এর নেতৃত্বে এবং কোম্পানির জনবল দ্বারা অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে বলেও জানানো হয়।
এনএস/এমআরএম/জিকেএস
Advertisement