দেশজুড়ে

স্ত্রীকে হত্যার পর থানায় গিয়ে হাজির স্বামী

নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে আফরিন আক্তার রানী (২৩) নামে এক গৃহবধূকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে তার স্বামী। স্ত্রীকে হত্যার পর স্বামী মেহেদী হাসান (৩০) নিজেই থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করেছেন।

Advertisement

শুক্রবার দুপুরে ফতুল্লার চাঁদনী হাউজিং এলাকার ওমর ফারুকের বাড়ির ২য় তলা থেকে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

নিহত আফরিন আক্তার রানী নাটোরের বাগাতিপাড়া উপজেলার সরদীয়া এলাকার আব্দুর রহিমের মেয়ে এবং ফতুল্লার চাঁদনী হাউজিং এলাকার ওমর ফারুকের বাড়ির ২য় তলার ভাড়াটিয়া মেহেদী হাসানের স্ত্রী।

ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মামুন আল আবেদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, গত দুই বছর আগে আফরিন আক্তার রানীকে পরকীয়া সম্পর্ক থেকে বিয়ে করেন মেহেদী হাসান। বিয়ের পর তারা ফতুল্লার চাঁদনী হাউজিং এলাকার ওমর ফারুকের বাড়ির ২য় তলার ভাড়া বাড়িতে বসবাস করে আসছিল। তাদের সংসারে পাঁচ মাসের একটি ছেলে সন্তান রয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে মোবাইলে চার্জ দেয়া নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়ার একপর্যায়ে মেহেদী তার স্ত্রী রানীকে গলায় গামছা পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন। হত্যার পর মেহেদী সারারাত বাসায় ঘুমিয়ে ছিলেন। শুক্রবার দুপুরে পাঁচ মাসের শিশু সন্তানকে বাসায় রেখে ফতুল্লা থানায় আত্মসমর্পণ করেন তিনি।

Advertisement

এসআই মামুন আল আবেদ আরও জানান, মেহেদী হাসানের আগের সংসারে স্ত্রী-সন্তান রয়েছে এবং আফরিন আক্তার রানীরও স্বামী-সন্তান রয়েছে। তারা উভয়ই আগের সংসার রেখে পরকীয়া সম্পর্ক বিয়ে করে আলাদা সংসার শুরু করে। তাদের সংসার জীবনে আগের সংসার নিয়ে প্রায়ই ঝগড়া হতো বলে জানা গেছে।

শাহাদাত হোসেন/আরএআর/পিআর