অর্থনীতি

বছরের সর্বনিম্ন রেমিট্যান্স

নানা উদ্যোগের পরও প্রবাসীদের পাঠানো বৈদেশিক মুদ্রা বা রেমিট্যান্স আহরণ ধারাবাহিকভাবে কমছে। সদ্য সমাপ্ত সেপ্টেম্বর মাসে দেশে ১১২ কোটি ৭৩ লাখ মার্কিন ডলার সমপরিমাণ অর্থ পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। যা চলতি বছরের যে কোনো মাসের চেয়ে সর্বনিম্ন।

Advertisement

মঙ্গলবার (২ অক্টোবর) বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রানীতি বিভাগের হালনাগাদ প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে। প্রবাসীদের পাঠানো অর্থের বড় উৎস মধ্যপ্রাচ্য। সে সব দেশে বিভিন্ন সমস্যার কারণে প্রবাসীরা সহজে রেমিট্যান্স পাঠাতে পারছে না। ফলে সরকার ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নেয়া নানা উদ্যোগের পরও আশানুরূপ রেমিট্যান্স আসছে না। তাই প্রবাসী আয়কে ইতিবাচক ধারায় ফিরাতে রেমিট্যান্স পাঠানোর খরচ কমানোর পাশাপাশি বিভিন্ন প্রণোদনা দেয়ার প্রয়োজন বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের নবম মাস সেপ্টেম্বরে দেশে ১১২ কোটি ৭৩ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। যা আগের মাস আগস্টের চেয়ে ২৮ কোটি ডলার কম। আগস্টে রেমিট্যান্স এসেছিল ১৪১ কোটি ১০ লাখ ডলার। সে হিসেবে এক মাসের ব্যবধানে রেমিট্যান্স কমেছে ২৮ কোটি ৩৭ লাখ ডলার বা ২০ শতাংশ কম।

এদিকে মাসের ব্যবধানে রেমিট্যান্স কমলেও বেড়েছে বছরের ব্যবধানে। পয়েন্ট টু পয়েন্টে সেপ্টেম্বরে রেমিট্যান্স বেড়েছে ২৭ কোটি ডলার। ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বরে প্রবাসীরা ৮৫ কোটি ৬৮ লাখ ডলার পাঠিয়েছিলেন।

Advertisement

রেমিট্যান্সের তথ্য পর্যালোচনায় দেখা গেছে, গত চার বছরের মধ্যে দেশে ২০১৪-১৫ অর্থবছরে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স এসেছে। এ সময় রেমিট্যান্স এসেছিল এক হাজার ৫৩১ কোটি ৬৯ লাখ মার্কিন ডলার। ২০১৬-১৭ অর্থবছরে প্রবাসীদের রেমিট্যান্স পাঠানোর পরিমাণ ছিল এক হাজার ২৭৬ কোটি ৯৪ লাখ মার্কিন ডলার। সর্বশেষ ২০১৭-১৮ অর্থবছরের এক হাজার ৪৯৮ কোটি ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছিল প্রবাসীরা। যা তার আগের অর্থবছরের চেয়ে ১৭ দশমিক ৩ শতাংশ বেশি।

এসআই/এএইচ/পিআর