আন্তর্জাতিক

‘অজ্ঞাত রোগে দ্রুত দুর্বল হয়ে পড়ছেন পারভেজ মুশাররফ’

পাকিস্তানের সাবেক স্বৈরশাসক জেনারেল পারভেজ মুশাররফ দ্রুত দুর্বল হয়ে পড়ছেন। অজানা রোগ তার শরীরে বাসা বাধায় এ অবস্থার তৈরি হয়েছে। দেশটির সাবেক স্বৈরশাসকের রাজনৈতিক দলের জ্যেষ্ঠ এক নেতা এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, এ কারণে পারভেজ মুশাররফ এখন রাষ্ট্রদ্রোহ মামলার মুখোমুখি হতে পারবেন না।

Advertisement

২০০৭ সালে বিশেষ ক্ষমতাবলে পাকিস্তানের সংবিধান স্থগিতের ঘটনায় রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা বিচারাধীন রয়েছে তার বিরুদ্ধে। ৭৫ বছর বয়সী পারভেজ মুশাররফ ২০১৬ সাল থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে বসবাস করছেন।

পারভেজ মুশাররফের রাজনৈতিক দল অল পাকিস্তান মুসলিম লীগের (এপিএমএল) সাবেক চেয়ারম্যান মুহাম্মদ আমজাদ বলেন, নতুন অজ্ঞাত রোগে আক্রান্ত সাবেক প্রেসিডেন্ট প্রতি তিন মাস পর পর চিকিৎসার জন্য লন্ডনে যান।

আরও পড়ুন : গার্লফ্রেন্ড চায় যৌন সম্পর্ক, রাজি নয় বয়ফ্রেন্ড, অতঃপর...

Advertisement

রোববার দলীয় এক বৈঠকের পর মুহাম্মদ আমজাদ বলেন, পারভেজ মুশাররফের মেরুদণ্ডে ফাঁটল ধরেছে। এটার জন্য তিনি যুক্তরাষ্ট্রে চিকিৎসা নিয়েছেন। বর্তমানে পৃথক একটি রোগের চিকিৎসা নিচ্ছেন। এ কারণে প্রত্যেক তিন মাস পর তিনি লন্ডনে যান।

তিনি বলেন, আমরা এই মুহূর্তে দেশের মানুষকে তার শারীরিক সমস্যার ব্যাপারে জানাতে পারছি না। তবে আমরা এ ব্যাপারে আদালতকে অবগত করবো এবং প্রধান বিচারপতির কাছে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র উপস্থাপন করবো।

এপিএমএলের সাবেক এই চেয়ারম্যান বলেন, মুশাররফ দ্রুত দুর্বল হয়ে পড়ছেন। সুতরাং আমরা তার জীবন ঝুঁকির মধ্যে ফেলতে পারি না।

আরও পড়ুন : ক্যান্সারের গবেষণায় চিকিৎসার নোবেল পেলেন দুই বিজ্ঞানী

Advertisement

মুহাম্মদ আমজাদ বলেন, নিরপেক্ষ বিচার ও চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে যাওয়ার নিশ্চয়তা দেয়া হলেই মুশাররফ পাকিস্তানে ফিরবেন।

তার দাবি, চলতি বছরের ২৫ জুলাইয়ের সাধারণ নির্বাচনের আগে তাকে দেশে ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নিয়েছিল এপিএমএল। কিন্তু তাতে বাধা সৃষ্টি করা হয়েছিল। পাকিস্তানের আইনে রাষ্ট্রদ্রোহী মামলায় দোষী সাব্যস্ত হলে অভিযুক্তকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে।

১৯৯৯ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত পাকিস্তান শাসন করেছেন পারভেজ মুশাররফ। দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেনজির ভূট্টো ও লাল মসজিদের ইমামকে হত্যার ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় পলাতক ঘোষণা করা হয়েছে সাবেক এ স্বৈরশাসককে।

সূত্র : ডন।

এসআইএস/পিআর