অর্থনীতি

দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য সম্পর্ক উন্নয়নের পরামর্শ রেহমান সোবহানের

বিশ্বের বড় দেশগুলো এবং তাদের বাণিজ্য অংশীদারদের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক প্রাধান্য পাবে এবং বাংলাদেশকে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, চীন থেকে ভারত পর্যন্ত সব দেশের সঙ্গে আলাদা দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য সম্পর্কে প্রবেশ করতে হবে। বিশ্বের বাণিজ্য ব্যবস্থার রাজনীতিকরণের প্রেক্ষাপটে এমন মন্তব্য করেছেন বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক রেহমান সোবহান।

Advertisement

সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর মহাখালীতে অবস্থিত ব্র্যাক সেন্টার ইনে সিপিডি আয়োজিত কনফারেন্সে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এই কথা বলেন।

দুই দিনব্যাপী কনফারেন্সের প্রথম সেশনে সভাপতিত্ব করেন অর্থনীতির পুনঃকৌশলীকরণ টাস্কফোর্সের চেয়ারম্যান ড. কে এ এস মুর্শিদ। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্য উপদেষ্টা সেখ বশির উদ্দিন।

মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন টাস্কফোর্সের সদস্য সেলিম রায়হান এবং ড. মোহাম্মদ এ রাজ্জাক।

Advertisement

রেহমান সোবহান বলেন, ট্রাম্প চীনের ওপর ৩০ শতাংশ শুল্ক চাপাতে পারেন, কিন্তু যদি তিনি অন্য কোথাও কোনো রাজনৈতিক চুক্তি করেন, তবে তিনি এটিকে ১০ শতাংশে নামিয়ে আনতে পারেন। কিন্তু আপনি ৩০ শতাংশ অ্যাক্সেসের সুবিধা নিয়েছেন। তাই এটিও একটি সমস্যা যা আপনাকে সমাধান করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, আমরা জিভ বের করে বসে আছি যে চীনা রপ্তানির উপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক বাড়ানো হবে বলে আমরা স্বয়ংক্রিয়ভাবে সেই শূন্যস্থান পূরণ করতে সক্ষম হব। তবে আমি মনে করি না যে খেলাটি এভাবে খেলা হবে। উচ্চ শুল্ক আরোপের পাশাপাশি অন্যান্য বিভিন্ন অর্থনৈতিক ও বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা শক্তিশালী দেশগুলো রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে। প্রথমে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, তারপর ইউরোপীয় ইউনিয়ন ধীরে ধীরে সেই বাজারে প্রবেশ করছে। ভারত ইউরোপকে অনুসরণ করছে, ভারত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে অনুসরণ করছে। চীনের নিজস্ব কিছু নীতি রয়েছে।

সিপিডির চেয়ারম্যান বলেন, সবাই মূলত স্বীকার করছে যে, নিয়ম ভিত্তিক বাণিজ্যের পুরো বিশ্ব, যার ওপর তাত্ত্বিকভাবে ডব্লিউটিও প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল, এটি আসলে কখনোই নিয়ম ভিত্তিক ব্যবস্থা ছিল না। এটি ছিল পশ্চিমা দেশগুলোর তৈরি করা কল্পনার একটি অংশ।

এসআরএস/এএমএ

Advertisement