১৮ ওয়ানডের ক্যারিয়ারে প্রথমবারের মতো ব্যাট তুলে ধরার সুযোগ পেলেন লিটন দাস। না, হাফসেঞ্চুরি নয়। একেবারে সেঞ্চুরিতেই ম্যাজিক ফিগার ছুঁলেন ডানহাতি এই ওপেনার। দুর্দান্ত সেঞ্চুরি তিনি হাঁকিয়েছেন সহজাত মারকুটে ভঙ্গিমাতেই।
Advertisement
ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরিটা মাত্র ৮৭ বলেই তুলে নিয়েছেন লিটন। তার এই দুর্দান্ত সেঞ্চুরির পরও অবশ্য দ্রুত বেশ কয়েকটি উইকেট হারিয়ে অস্বস্তিতে আছে বাংলাদেশ। এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ৩০ ওভার শেষে ৪ উইকেটে ১৪৭ রান টাইগারদের। ৯০ বলে ১১ বাউন্ডারি আর ২ ছক্কায় ১০১ রানে অপরাজিত আছেন লিটন। সঙ্গে ২ রান নিয়ে ব্যাট করছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।
ওপেনিং জুটি ক্লিক করছিল না কিছুতেই। তামিম ইকবালের শূন্যতাটা বেশ অনুভূত হচ্ছিল এশিয়া কাপের আগের ম্যাচগুলোতে। এবার সেই শূন্যতা ঘুচল ফাইনালে। ভারতের মতো দলের বিপক্ষে।
দুবাইয়ে মেকশিপ্ট ওপেনার মেহেদী হাসান মিরাজ আর লিটন দাসের ব্যাটে রীতিমত উড়ন্ত সূচনা পেয়েছে বাংলাদেশ। উদ্বোধনী জুটিতে তারা তুলেন ১২০ রান।
Advertisement
মিরাজ শুধু সাপোর্ট দিয়ে যাচ্ছিলেন। লিটন খেলেছেন ঝড়ো গতিতে। শেষ পর্যন্ত এই জুটিটি ভাঙেন কেদর যাদব। তাকে তুলে মারতে গিয়ে পয়েন্টে ধরা পড়েন মিরাজ। ৫৯ বলে ৩ বাউন্ডারিতে তিনি করেন ৩২ রান।
এরপর আরও একটি উইকেট হারিয়ে ফেলে বাংলাদেশ। ইয়ুজবেন্দ্র চাহালের বলটি ইমরুল কায়েসের প্যাডে লাগলে আঙুল তুলে দেন আম্পায়ার। ইমরুল রিভিউ নিয়েছিলেন, বলও দেখা যায় বাইরে পিচ করে স্ট্যাম্পে আঘাত হেনেছে। কিন্তু আম্পায়ারের কল হওয়ায় ২ রান নিয়েই সাজঘরে ফিরতে হয় ইমরুলকে।
দলের ব্যাটিং ভরসা মুশফিকুর রহীমও বেশিদূর এগুতে পারেননি। ৫ রান করে তিনি উঠিয়ে মারতে গিয়েছিলেন যাদবকে। ডিপ মিডউইকেটে ধরা পড়েন বুমরাহর হাতে। এরপর দুর্ভাগ্যজনক রানআউটের শিকার মোহাম্মদ মিঠুন (২)।
এমএমআর/পিআর
Advertisement