সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ‘সিনিয়র শিক্ষক’ পদে ৫ হাজার শিক্ষককে পদোন্নতি দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এ লক্ষ্যে গত ২৫ সেপ্টেম্বর মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরকে (মাউশি) শিক্ষকদের তথ্য সংগ্রহ করে আগামী ১৫ অক্টোবরের মধ্যে পাঠাতে নির্দেশ দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। নির্দেশনায় বলা হয়েছে, সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে কর্মরত ৫০ শতাংশ সহকারী শিক্ষক-শিক্ষিকাদের ‘সিনিয়র শিক্ষক’ পদে পদোন্নতি দেয়া হবে। সেই লক্ষ্যে আট বছর পার হওয়া জ্যেষ্ঠ শিক্ষকদের তালিকা তৈরি করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে জমা দিতে বলা হয়েছে। এসব তথ্যের মধ্যে- হিসাবরক্ষণ অফিস থেকে প্রদত্ত চাকরি বিবরণী, নিয়োগপত্র, আত্তীকরণ, স্থায়ীকরণ, নিয়মিতকরণ আদেশ ও যোগদানপত্রের সত্যায়িত কপি (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে), প্রতিষ্ঠান প্রধান কর্তৃক বিভাগীয়/ফৌজদারী/দুর্নীতি মামলা-সংক্রান্ত, প্রতিষ্ঠান প্রধান কর্তৃক চাকরি ধারাবাহিকতা ও চাকরিকাল সন্তোষজনক-সংক্রান্ত প্রত্যয়নপত্র, বি.এড/সমমান পাসের সনদের সত্যায়িত কপি এবং বিগত ৫ বছরের বার্ষিক গোপনীয় প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। আগামী ১৫ অক্টোবরের মধ্যে এসব তথ্য পাঠাতে বলা হয়েছে।
Advertisement
শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, সারাদেশে পুরনো ৩৩০টি সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানে প্রায় সাড়ে ১০ হাজার সহকারী শিক্ষক কর্মরত রয়েছেন। কর্মকর্তা-কর্মচারী (মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা) নিয়োগ বিধিমালা ১৯৯১ অনুযায়ী সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক, সহকারী প্রধান ও প্রধান শিক্ষকের পদ রয়েছে।
এ কারণে অধিকাংশ সহকারী শিক্ষকরা যুগের পর যুগ পার করলেও পদোন্নতি পাচ্ছেন না। বিষয়টি বিবেচনা করে সম্প্রতি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে সিনিয়র শিক্ষক (১২তম গ্রেড) পদ সৃজন করা হয়। তার ভিত্তিতে কর্মরত জ্যেষ্ঠ শিক্ষকদের এ পদে পদোন্নতি দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (সরকারি বিদ্যালয়) নাজমুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষকদের পদোন্নতি না হওয়া একটি অমানবিক বিষয়। এ কারণে নতুন করে পদ সৃজন করা হয়েছে। বর্তমানে সারাদেশে কর্মরত ৫০ শতাংশ জ্যেষ্ঠ শিক্ষককে পদোন্নতি দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
Advertisement
তিনি বলেন, জ্যেষ্ঠ শিক্ষকদের পদোন্নতির লক্ষ্যে আমরা মাউশিকে আগামী ১৫ অক্টোবরের মধ্যে শিক্ষকদের বিভিন্ন স্তরের তথ্য দিতে নির্দেশ দিয়েছি। এসব তথ্য যাচাই-বাছাই করে আগামী ৩ মাসের মধ্যে এ পদোন্নতি কার্যক্রম সম্পন্ন করা হবে বলে জানান এই কর্মকর্তা।
এমএইচএম/এমআরএম/এমএস