জাতীয়

আগে প্রশিক্ষণ নেন শেখেন, শেখান : ইভিএম নিয়ে প্রধানমন্ত্রী

জাতীয় নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) ব্যবহার সম্বন্ধে নির্দেশনা দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আগে এ বিষয়ে প্রশিক্ষণ নেন শেখেন, শেখান তারপর ব্যবস্থায় যান।

Advertisement

এরপর এটিকে আস্তে আস্তে বাস্তবায়ন করার কথা বলে- এর যেন অপব্যবহার না হয়, সে ব্যাপারে লক্ষ্য রাখার নির্দেশ দেন।

মঙ্গলবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে এনইসি সম্মেলন কক্ষে একনেক চেয়ারপারসন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে একনেক সভায় এ নির্দেশনা দেন প্রধানমন্ত্রী। একনেক সভা শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।

পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী ইভিএমের অপব্যবহার না হয় সেদিকে লক্ষ রাখার জন্য নির্দেশনা দিয়েছেন। ইভিএমের প্রশিক্ষণ ও এর ব্যবহার শেখাতে নির্দেশনা দিয়েছেন।

Advertisement

তিনি বলেন, আমরা প্রকল্পটি নিয়েছি- তিনটি পর্যায়ে প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হবে। আমরা বিশ্বাস করি প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা এবং অনুশাসন অনুযায়ী এ ইভিএম প্রকল্প বাস্তবায়িত হবে।

পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন ইভিএমের ব্যবহার গ্রাজুয়ালি করা হবে। গ্রাজুয়ালি ব্যবহার করাটা হয়তো উনি ( প্রধানমন্ত্রী) গাইডলাইন দেবেন। আমরা গ্রাজুয়ালি বলতে বুঝি এটা একবারে করা যাবে না ধীরে ধীরে করতে হবে। যারা ব্যবহার করবে তাদের প্রশিক্ষণ দিতে হবে।

প্রকল্পটি গত মাসে পরিকল্পনা কমিশনে এসেছে, এত দ্রুত এটা পাস হয়ে যাওয়া তাড়াহুড়ো কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, এ প্রকল্প অনুমোদন দিতে কোনো তাড়াহুড়ো করা হয়নি, আমাদের কাছে কোনো প্রকল্প দুই সপ্তাহের বেশি থাকলেই সেটাকে আমরা দীর্ঘদিন বলি।

আগামী জাতীয় নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার হবে কিনা এ ব্যাপারে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, সেটা নির্বাচন কমিশনের ব্যাপার। এখনতো আমাদের আরপিও সংশোধন করতে হবে। আরপিওতে এখন স্থানীয় পর্যায়ের নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারের নির্দেশনা আছে। যেহেতু সেখানে নির্দশনা আছে আমি মনে করি জাতীয় নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারের ব্যপারে নির্দশনা থাকা।

Advertisement

মন্ত্রী বলেন, ইভিএম ব্যবহার আগে আমরা ইউনিয়ন পর্যায়ে কিছু জায়গায় করা হয়েছে। এরপর উপজেলা, তারপর সিটি কর্পোরেশন।

‘নির্বাচন ব্যবস্থায় অধিকতর স্বচ্ছতা আনতে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) কেনা, সংরক্ষণ ও ব্যবহার’ শীর্ষক প্রকল্পটি বাস্তবায়নে খরচ ধরা হয়েছে তিন হাজার ৮২৫ কোটি ৩৪ লাখ টাকা। সম্পূর্ণ সরকারি অর্থায়নে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হবে।

এই প্রকল্পের আওতায় দেশব্যাপী বিভিন্ন নির্বাচনে ইভিএমের মাধ্যমে ভোটগ্রহণের লক্ষ্যে ক্রমান্বয়ে এক লাখ ৫০ হাজার ইভিএম মেশিন কেনা, সংরক্ষণ ও ব্যবহার করা হবে।

এমএ/বিএ