খেলাধুলা

ভারতকে ভয় ধরিয়ে দিয়েছিল হংকং

স্রেফ অভিজ্ঞতা নেই বলে এই অবস্থায় গিয়েও ম্যাচ হেরে গেছে হংকং। পেশাদার কোনো দল হলে নিশ্চিত, পরাজয় লেখা হতো ভারতেরই ললাটে। শুধুমাত্র অনভিজ্ঞ দল হওয়ার কারণেই, ওপেনিংয়ে ৩৪.১ ওভারে ১৭৪ রানের জুটি গড়ার পরও ভারতের কাছে হংকংকে হারতে হলো ২৬ রানের ব্যবধানে। ভারতের করা ২৮৬ রানের জবাব দিতে নেমে ৮ উইকেট হারিয়ে ২৫৯ রান করে হংকং।

Advertisement

এত কঠিন পরীক্ষার মুখোমুখি হতে হবে কখনও ভাবতে পারনি ক্রিকেটের মোড়ল ভারত। হংকংয়ের মতো পুঁচকে একটি দেশের কোনো ব্যাটসম্যানকে ৩৪ ওভার পর্যন্ত আউট করতে পারেনি ভারতীয় বোলাররা। হংকংও ততক্ষণে স্কোরবোর্ডে রান তুলে ফেলেছিল ১৭৪।

ভারতীয় ক্রিকেট ইতিহাসে এ নিয়ে তিনবার ৩৩ ওভারের মধ্যে প্রতিপক্ষের ওপেনারদের উইকেট নিতে পারেনি বোলাররা। আগের দু’বার ছিল দক্ষিণ আফ্রিকা এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তৃতীয়বার যোগ হলো হংকং।

হংকংয়ের দুই ওপেনার নিজাকাত খান এবং অংশমান রাথকে মনে হচ্ছিল যেন ভারতীয় বোলারদের সামনে বিশাল এক হিমালয় পর্বত। তাদেরকে নড়ানো যায় না, টলানো যায় না। ভুবনেশ্বর কুমার, খলিল আহমেদ, শার্দুল ঠাকুর, ইয়ুযবেন্দ্র চাহাল, কুলদ্বীপ যাদব এবং কেদার যাদব- এই ছয় বোলার একের পর এক চেষ্টা করেও পারেননি হংকংয়ের দুই ওপেনারের মধ্যে ফাটল ধরাতে।

Advertisement

অবশেষে এই জুটিতে ফাটল ধরাতে সক্ষম হলেন কুলদ্বীপ যাদব। অফ স্ট্যাম্পে ফেলানো বলকে অফ ড্রাইভ করতে গিয়ে অংশুমান রাথ ক্যাচ তুলে দেন কভারে দাঁড়ানো রোহিত শর্মার হাতে। শেষ পর্যন্ত পতন ঘটলো প্রথম উইকেটের। হাঁফ ছেড়ে বাঁচলো ভারতীয় সমর্থকরাও। ৯৭ বলে ৭৩ রান করে আউট হন হংকং অধিনায়ক। ৪টি বাউন্ডারির সঙ্গে ছক্কা মারেন ১টি।

অপর ওপেনার নিজাকাত খান সেঞ্চুরির কাছাকাছি চলে গিয়েছিলেন। কিন্তু মাত্র ৮ রানের আফসোসে পুড়তে হলো তাকে। ৯২ রানের মাথায় অভিষিক্ত খলিল আহমেদের বলে লেগ বিফোর হয়ে ফিরে যান সাজঘরর। বল মোকাবেলা করেন ১১৫টি।

এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট পড়তে থাকে হংকংয়ের। ২২ রান করেন এহসান খান। ১৭ রান করেন কিঞ্চিত শাহ এবং ১৮ রান করেন বাবর হায়াত। ১২ রানে অপরাজিত থাকেন তানভির আফজাল। ভারতের হয়ে ৩টি করে উইকেট নেন খলিল আহমেদ এবং ইয়ুযবেন্দ্র চাহাল। ২ উইকেট নেন কুলদ্বীপ যাদব।

আইএইচএস/বিএ

Advertisement