রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে অন্তর্ঘাত ও ষড়যন্ত্র করার অভিযোগে বিএনপি মহাসচিব মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ তিনজনের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলায় তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ৬ নভেম্বর দিন ঠিক করেছেন আদালত।
Advertisement
বৃহস্পতিবার নির্ধারিত দিনে ঢাকা মহানগর হাকিম এএইচএম তোয়াহা প্রতিবেদন দাখিলের নতুন এই দিন ধার্র করে আদেশ দেন। মামলাটি তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ধার্য ছিল বৃহস্পতিবার। কিন্তু এদিন তেজগাঁও থানা পুলিশ প্রতিবেদন দাখিল করতে পারেনি।
এর আগে, গত ৬ আগস্ট বাংলাদেশ জননেত্রী পরিষদের সভাপতি এ বি সিদ্দিকী মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীকে আসামি করা হয়।
মামলার অভিযোগ বলা হয়, গত ৪ আগস্ট আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর একটি অডিওক্লিপ সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়। যেখানে শোনা যায় কুমিল্লায় অবস্থানরত নওমী নামে এক কর্মীর সঙ্গে কথা বলছেন তিনি। নওমীকে তিনি বলছেন ঢাকা এসে লোকজন নিয়ে নেমে পড়তে। অপরদিকে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও রুহুল কবির রিজভীর হুকুমে নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলনে ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে ছাত্রদলের লোকজন ঢুকে পড়ে।
Advertisement
ঢাকার বিভিন্ন জায়গায় যেমন- জিগাতলায় ছাত্রদলের কর্মীরা আওয়ামী লীগ অফিসে হামলা ও বিভিন্ন জায়গায় পরিবহনে অগ্নিসংযোগ ও ছাত্রীধর্ষণ ও ছাত্র-ছাত্রীদের নিহত হওয়ার গুজব ছড়িয়ে সাধারণ জনগণের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি এবং সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার চেষ্টা করে।
এছাড়া মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও রুহুল কবির রিজভীর হুকুমে ছাত্র-ছাত্রীদের আন্দোলনের মাঝে ছাত্রদলের কর্মীদের ঢুকিয়ে দিয়ে উত্তরায় এনা পরিবহনের দুই বাসে অগ্নিসংযোগ, জিগাতলায় আওয়ামী লীগ অফিসে ভাঙচুর ও হামলা করে কর্মীদের আহত করেছে, মিরপুরে মারপিট, হামলা ও গুলিবর্ষণ ঘটিয়েছে ছাত্রদলের কর্মীরা।
আসামিরা সরকারের বিরুদ্ধে অন্তর্ঘাত ও ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়ে এ আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত হয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছেন বলে অভিযোগ করা হয়। তারা ১৫৩, ১৫৩ (ক) ও ১০৯ ধারার অপরাধ করেছেন বলে উল্লেখ করা হয়। এতে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও রুহুল কবির রিজভীকে ওই ঘটনার হুকুমদাতা বলে উল্লেখ করা হয়েছে। মামলায় বাদী এই তিনজনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদন করেছিলেন।
জেএ/এফএইচ/বিএ
Advertisement