রাজধানীতে বাসচাপায় শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের দুই শিক্ষার্থীর মর্মান্তিক মৃত্যুর পর নিরাপদ সড়কের দাবিতে গড়ে ওঠা শিক্ষার্থীদের আন্দোলন সপ্তম দিনে গড়িয়েছে আজ। আগের দিনগুলোর মতো আজও রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে অবস্থান নিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
Advertisement
আজও তারা বিভিন্ন গাড়ির চালকের লাইসেন্স আছে কি-না যাচাই করছেন। এ ছাড়া রিকশা-গাড়িকে নির্দিষ্ট লেনে থেকে চলাচল করতে বাধ্য করছে ও উল্টো পথে গাড়ি চললে তা ফিরিয়ে দিচ্ছে।
শনিবার সকাল থেকেই বাংলামোটর মোড়ে অবস্থান নিয়ে লাইসেন্স যাচাই করছিলেন ঢাকা কমার্স কলেজ,আইডিয়াল কমার্স কলেজ ও ঢাকা কমার্স কলেজের শিক্ষার্থীরা।
এরইমধ্যে সেখানে উল্টো পথে এসে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সামনে পড়েন রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক। গাড়িতে মন্ত্রীর স্ত্রী হনুফা আক্তার ও তাদের একমাত্র মেয়েও ছিল। মন্ত্রীর গাড়ির পেছনে পুলিশের গাড়িও ছিল। মন্ত্রীর গাড়ি উল্টো পথে দেখে শিক্ষার্থীরা স্লোগান দেয়া শুরু করেন। এ সময় মন্ত্রীর স্ত্রী জানালা খুলে শিক্ষার্থীদের বলেন, আমার সন্তান অসুস্থ। তাকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাচ্ছি। তখন শিক্ষার্থীরা তাদের গাড়িটি ছেড়ে দেন।
Advertisement
উল্লেখ্য, ২৯ জুলাই দুপুরে রাজধানীর বিমানবন্দর সড়কের কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের সামনে এমইএস বাস স্ট্যান্ডে জাবালে নূর পরিবহনের একটি বাসচাপায় নিহত হন মিম ও করিম নামে দুই শিক্ষার্থী। ওই দুর্ঘটনায় ১০-১৫ জন শিক্ষার্থী আহতও হন ।
এ ঘটনায় দিয়ার বাবা ওই দিনই ক্যান্টনমেন্ট থানায় একটি মামলা করেন।
দুই শিক্ষার্থী নিহত হওয়ার পর থেকেই নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলন করে আসছেন শিক্ষার্থীরা। শনিবার তাদের আন্দোলনের সপ্তম দিনেও স্থবির হয়ে রয়েছে রাজধানী ঢাকা। নিরাপত্তাহীনতার অজুহাতে ঢাকা শহরের সব রুটে বাস চলাচল বন্ধ রেখেছেন পরিবহন মালিকরা।
এআর/জেএ/এনএফ/আরআইপি
Advertisement